• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৪১:১৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৪১:১৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

সৈয়দপুরে ১১ বছর পর চাকরি হারানোর আতঙ্কে ঘুম নেই বিধবার

১ মার্চ ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮:২১

সৈয়দপুরে ১১ বছর পর চাকরি হারানোর আতঙ্কে ঘুম নেই বিধবার


সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে চলে মোটা অঙ্কের নিয়োগ বাণিজ্য। ওই নিয়োগ বাণিজ্যে ম্যানেজিং কমিটি, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা দফতরের কতিপয় অসৎ লোক জড়িত থাকেন। দীর্ঘদিন থেকে এ সকল অনিয়ম চলে আসলেও এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। ফলে নিয়োগ বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট। মজার ব্যাপার হল কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি বা প্রধান শিক্ষক আগে থেকেই অস্থায়ী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এ সময়ও তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় টাকা এবং প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় সময় হলে চাকুরি স্থায়ীকরণ করা হবে। আর এ আশায় বছরের পর বছর ধরে সামান্য বেতনে কাজ করে থাকে ওই সকল খন্ডকালিন শিক্ষক ও কর্মচারী। এরই মধ্যে যদি কমিটি পরিবর্তন হয় তাহলে বাড়ে বিপদ।  নতুন কেউ কমিটিতে এলে খুঁজতে থাকে শুণ্য পদ। শুরু করা হয় নিয়োগের নামে লাখ লাখ টাকা অর্থ বাণিজ্য। আর এ নিয়োগ নিয়ে মারামারি ও মামলাও হয়ে থাকে।

এমনি এক ঘটনা কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়কে ঘিরে। এ স্কুলে ২০১৪ সালে রাশেদা বেগম নামে এক বিধবা মহিলাকে আয়া পদে সাময়িক নিয়োগ দেয়া হয়। ওই সময় তাকে বলা হয় সময় এলে নিয়োগ স্থায়ীকরণ করা হবে। যৎ সামান্য বেতন ধরে ওই মহিলাকে ১১ বছর থেকে কাজ করে নেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ওই স্কুলে নতুন ম্যানেজিং কমিটি এসে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। শুণ্য পদে ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে রয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষক একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে একজন, অফিস সহায়ক একজন এবং আয়া পদে একজন।

এদিকে অস্থায়ী আয়া যিনি ১১ বছর থেকে চাকুরীর আশায় খেটে যাচ্ছেন তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে চাকুরি হারানোর কথা। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর থেকে চলছে দর কষাকষি।

ওই এলাকার এক ব্যক্তি জানান, ৪ পদে নিয়োগে প্রায় ৩০ লাখ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। তবে এখনো নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়নি।
গতকাল ওই স্কুলে ১১ বছর থেকে খেটে আসা বিধবা মহিলা রাশেদা বেগমের বাসায় গেলে তিনি এ প্রতিনিধিকে দেখে হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলেন। কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে। আমি একজন বিধবা নারী। আমার একটি মাত্র সন্তান তাও প্রতিবন্ধী। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্যার আমাকে কাজ দেন। আমি ১১ বছর থেকে স্কুলের সকল কাজ করে আসছি। হঠাৎ তারা আমাকে বাদ দিয়ে স্কুল কমিটির সদস্য জামিল হোসেনের ভাইয়ের স্ত্রীকে আয়া পদে নিয়োগ দেবেন। এমন কথা অনেকের মুখে মুখে। আর এ জন্য নাকি কয়েক লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ইশারা ইঙ্গিতে আমার কাছেও টাকার দাবি করা হয়। কিন্তু আমি একজন বিধবা মহিলা কোথায় পাব এত টাকা।  আর টাকা দিতে না পারলে আমার চাকুরি হবে না। আমি বড় স্যারকে বলেছি স্যার আমাকে যদি চাকুরি না দেন তাহলে কেন আমাকে ১১ বছর থেকে আটকে রাখা হল। এমন প্রশ্নের কোন উত্তর নেই ওই বড় স্যারের কাছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এখনো নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি। কাকে চাকুরি দেয়া হবে তা আমিও জানি না। এটি পুরোপুরি কমিটির হাতে। এদিকে বিচার চেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন ওই আয়া রাশেদা বেগম। শুধু রাশেদা বেগমই নয় ওই বিদ্যালয়ে ২০০২ সাল থেকে চাকুরি করে আসছেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. মোস্তাকিম। আজ পর্যন্ত তার নাম এমপিও ভুক্ত হয়নি। তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর ঢাকা ও  মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর রংপুর অঞ্চলের নামে মহামান্য হাই কোর্টে আপিল বিভাগ ঢাকায় রিট পিটিশন দায়ের করেছেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। সেটিকেও তোয়াক্কা না করে আমার পদেও নতুন লোক নিয়োগের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বিচার চেয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নিয়োগ বাণিজ্য ও পুর্বের দুইজনকে বাদ দেয়ার বিষয়ে কথা হয় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন সরকারের সাথে। তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে চান না। তবে নিয়োগে টাকার নেয়ার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ




সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৪:২০:৫২





আলু বীজের চড়া দামে দিশেহারা হাওরের চাষিরা
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৩:৩৬:৫৫