টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: কৃষকশ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা এখনো তাদের যথাযোগ্য মূল্যায়ন পায়নি।
তিনি বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে জয়ের কাছে হেরেছি। খবরটা কি ভাল না। আমার পরিচয় কি। আমার পরিচয় আমি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের মধ্যে এক নাম্বার ভক্ত, বঙ্গবন্ধুর অনুসারী। শুধু তার নির্দেশে যুদ্ধই করেনি বরং তাকে হত্যার প্রতিবাদ করেছি। তখন প্রতিবাদ করতে অনেককে পাইনি।
২ মার্চ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে “কাদেরিয়া বাহিনীর ২৭ নং হিরো কোম্পানি ৭১” নামের গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভূঞাপুর সম্পর্কে তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও শেরপুরের চেয়ে কদ্দুস নগরখ্যাত ভূঞাপুর মুক্তিযুদ্ধের অবদান সবচেয়ে বেশি। তবে সখীপুর উপজেলা প্রথম। ভূঞাপুর যার জন্য হয়েছে তিনি হলেন প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খান। প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খা পাকিস্তানকে সমর্থক করে নাই। আমাদের যাদের কালো অক্ষর পেটের মধ্যে গেছে সেটা এই ইবরাহীম খার জন্য হয়েছে। ইব্রাহীম খার জন্যই আমি কাদের সিদ্দিকী, সামছুল হক, আবদুল মান্নান, বদি ভাই হয়েছে। গোবিন্দাসীর মীর মোয়াজ্জেম হোসেন দুদু মিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার যোগান না দিলে তারা যুদ্ধ করতে পারতো না।
বঙ্গবীর বলেন, ভূঞাপুরে ১১ আগষ্ট পাকিস্তানীদের অস্ত্রবোঝাই জাহাজ ধ্বংস করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার টাকা কারোর বাবার মুরাদ নেই বন্ধ করার। কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি তবে ১৮ হাজার নয়।
বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাকীম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক যুগ্ম সচিব শফিকুল ইসলাম, লেখক মির্জা মহীউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মামুন তরফদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী তালুকদার, আজিজুর রহমান আজিজ প্রমুখ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available