বরিশাল প্রতিনিধি: সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন নৌযান শ্রমিকরা। ৪ মার্চ সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
কর্মবিরতি সফল করতে সোমবার বেলা ১১টায় বরিশাল নদী বন্দরে বিক্ষোভ করেছে নৌযান শ্রমিকরা। এ সময় মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শ্রমিকরা জানান, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদানের গৃহীত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করাসহ তাদের দেওয়া ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। তবে সরকার যদি বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন তবে তারা কর্মবিরতি থেকে সরে আসবেন।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল অঞ্চলের সভাপতি মাস্টার আবুল হাসেম ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আরও জানান, সরকার থেকে তাদের মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হলেও মালিকরা তা মানছেন না। তাছাড়া বাজার দর উর্ধ্বগতির বলে বর্তমানে যে মজুরি দেওয়া হয়, তা দিয়ে পরিবার চালানো সম্ভব নয়। অপরদিকে কর্মস্থলে দুর্ঘটনা ঘটলে মালিক বা সরকারি কোনো সহায়তা তারা পান না। তাই ১১ দফা দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। দাবি না মানলে রাত বারোটা ১ মিনিটের পর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাবেন তারা।
শ্রমিকদের দাবিগুলো মধ্যে আছে, নৌযান শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দেওয়া, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি-ছিনতাই ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা, নৌপথের নাব্যতা রক্ষা, নৌযান শ্রমিকদের পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র দেওয়া, রাতে চলাচলের জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা।
উল্লেখ, বরিশাল নৌ বন্দর থেকে বরিশাল-ঢাকা রুটে ও বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ২০টিরও বেশি রুটে লঞ্চ চলাচল করে। শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে গেলে বিপাকে পড়বে নদী প্রধান এই অঞ্চলের বাসিন্দারা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available