নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাট পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ও ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মাজিদুল ইসলামকে(৩৫) আটক করেছে র্যাব-৫-এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।
বুধবার রাত পৌনে ৯টায় ফতেপুর বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার ১২টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতারক মাজিদুল ইসলাম জেলার সাপাহার উপজেলার কোচ কুড়ুলিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ফতেপুর বাজার এলাকা হতে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের সদস্য মূলহোতা মাজিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এ সময় মালিবাগ সিআইডি অফিসে ভূয়া উপ-পুলিশ পরিদর্শক পরিচয় দানকারী সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে, মাজিদুল ইসলাম ২/৩ জনের একটি প্রতারক সিন্ডিকেটের মূলহোতা। আসামী নিজেকে বাংলাদেশ আনসারের ভূয়া সার্কেল এ্যাডজুটেন্ট হিসেবে পরিচয় দেন। তারা ২০১৯ সাল থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাথে প্রতারণামূলক কর্মকান্ডে জড়িত। তারা অবৈধ নিয়োগের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বা কখনও কখনও জাল নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। পলাতক আসামী সাইফুল ইসলাম নিজেকে মালিবাগ সিআইডি অফিসে ভূয়া উপ-পুলিশ পরিদর্শক পরিচয় দেন। তিনিও এই দলের একজন সক্রিয় সদস্য। ২০২১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার জন্য এক প্রার্থীর কাছ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা নেয় এবং জাল নিয়োগপত্র দেয়। পরে কনস্টেবল পদে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ওই প্রার্থী ভুয়া নিয়োগপত্রের কথা জানতে পারেন। এরপর র্যাব-৫ এর একটি অভিযানিক দল কয়েকটি জাল নিয়োগপত্র ও অন্যান্য নথিসহ তাকে আটক করে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available