নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার নবাবগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল (ইটের দেয়াল) ভেঙে পড়ে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বান্দুরা ৪৮নং মৌলভীডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়ালটি ভেঙে সড়কে পড়ে। এতে, পাশে একটি গ্রামে জনগণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, বাড়তে থাকে গ্রামবাসীর ভোগান্তি। তবে, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়াল মেরামত বা সড়ক দিয়ে চলাচল উপযোগী করতে এ পর্যন্ত নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। শিক্ষা অফিস বলছেন, ‘এসব বিষয়ে শিক্ষা অফিসকে এখনও অবগত করা হয়নি।
জানা গেছে, মৌলভীডাঙ্গী এলাকায় অবস্থিত এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে একটি মহল্লায় চলাচলের জন্য কাচা সড়ক রয়েছে। সেখান দিয়ে পায়ে হেটে ওই গ্রামের প্রায় ৪ শত পরিবার যাতায়াত করে। এ ছাড়া আশপাশে মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজারে যাওয়ার জন্য চলাচলের এটিই একমাত্র সড়ক।
হঠাৎ বিদ্যালয়ের দেয়াল ভেঙে সড়কে পড়ে যাওয়ায় জনভোগান্তি শুরু হয় গ্রামবাসীর। কয়েকমাস যাবৎ এভাবে পড়ে থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ নেয়নি কোন উদ্যোগ। এছাড়া এই দেয়াল ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন ঝুঁকি রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, ‘দেয়ালটি বেশ কয়েকমাস ধরে ভেঙে রাস্তায় পড়ে আছে। রাস্তা থেকে এখনও সরানো হচ্ছে না৷ এখান দিয়ে রাত হলে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। এই স্কুল থেকে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই জনগণের চলাচলের কথা চিন্তা করে দ্রুত সমাধানের দাবিও জানান তারা।
এ ঘটনা জানার পর ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি। তবে, মুঠোফোনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, ইটের দেয়ালটি ভেঙে পড়ার পর সরিয়ে ফেলতে বা সংস্কার করতে শিক্ষা অফিসের কোন অনুমতি পাইনি।
তিনি আরও বলেন, অনুমতি চেয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান শামীম স্যারের ফরওয়ার্ডিং নিয়ে শিক্ষা অফিসার স্যারের বরাবর লিখিত দরখাস্ত জমা দিয়েছি, তবে এখনও কোন অনুমতি পাইনি।
বান্দুরা ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান শামীম মুঠোফোনে এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দেয়াল ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের পক্ষ প্রধান শিক্ষকসহ অন্য কেউ অবগত বা কেউ দরখাস্ত নিয়ে আসেনি। যেহেতু দেয়াল ভেঙে সড়কে পড়ে জনভেগান্তির অভিযোগ, উঠেছে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘টিফিন সময় বা অন্য কোন কাজে স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষক কোথাও যেতে পারবে না। প্রধান শিক্ষক যদি দাফতরিক কোন কাজে উপজেলায় আসে তাহলে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রাশেদ মামুন এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই। ওই বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আমাকে অবগত করেনি। বিদ্যালয়ের দেয়াল ভেঙে পড়ে যদি জনভোগান্তি হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available