নওগাঁ প্রতিনিধি: সরকারি গুদামে খাদ্য মজুতের অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, সরকারিভাবে দেশে ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত থাকলে যথেষ্ট। তার বিপরীতে দেশে বর্তমান ২১ লাখ টনের অধিক মজুত আছে, যা স্বাধীনতার পরে সর্বোচ্চ।
২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল ১০টায় নওগাঁ শহরের আটা পট্টি ও রুবির মোড়ে দুইটি ওএমএস দোকান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।
কোন ডিলার অনিয়ম করে ওজনে কম, দাম বেশি নেওয়া এবং পঁচা ও নষ্ট আটা-চাল বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কতিপয় ব্যক্তিরা ওএমএস নিয়ে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার করছে। ডিলাররা পঁচা চাল বিক্রি করছে, এমনকি গরুও সেই চাল খাবে না। কিন্তু তারাই আবার সেই চাল কিনছে। যে চাল মানুষ খেতে পারবে না, সেই চাল স্মাগলিং (চোরাচালান) হয় কিভাবে। তারা অপপ্রচার চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করতে চাইছে। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে এবং যা অব্যহত থাকবে।
নিন্ম আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, যতদিন মানুষের কাছে চাহিদা থাকবে, ততদিন খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রির (ওএমএস) কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এছাড়া আগামী পহেলা মার্চ থেকে ৭মার্চ পর্যন্ত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি শুরু হবে। তবে ওএমএস চলতে থাকবে। এই কর্মসূচীতে সারাদেশে দুই হাজার ৫৫০ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৪ হাজার থেকে সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিকটন চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের যদি চাহিদা বৃদ্ধি পায়, তাহলে ডিলারের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এই কর্মসূচীকে আরও জোরদার করা হবে।
ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, অতি মুনাফার লোভে খাদ্যদ্রব্যে মজুদ করে মানুষকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করবেন না। নতুন আইন হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
এসময় রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি.এম ফারুক হোসেন পাটওয়ারি ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available