নিয়ামতপুর (নওগাঁ ) প্রতিনিধি: রবিউল ইসলাম ৬০ হাজার টাকায় ১০০টি মুরগি কিনেছিলেন। ১২ মার্চ মঙ্গলবার এলাকায় মাইকিং করার কথা ছিল। কিন্তু মাইকিং আর হয়নি। এক রাতের আগুনে তার দোকানের প্রায় সব মুরগি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন লেগে রবিউলের মতো আরও পাঁচ দোকানীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১১ মার্চ সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা আনন্দ বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছয় ব্যবসায়ীর দাবি, তাদের প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রবিউল ইসলাম বলেন, আমি গরিব মানুষ। বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ করে মুরগির ব্যবসা করি। এক রাতের আগুন আমাকে নিঃস্ব করে দিল। সমিতির ঋণ কীভাবে শোধ হবে বুঝতে পারছি না। আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
পাপুল সরকার জানান, তিনি তিন মাস আগে সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চা স্টল করেছিলেন। ব্যবসা ভালোই হচ্ছিল। আগুনে সব শেষ হয়ে গেল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত তিনটার দিকে একটি চায়ের স্টলে হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এরপর মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাশের অপর চা স্টল, মুদি দোকান, টেইলার্স, কাঠের দোকান ও মুরগির দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
খবর পেয়ে নিয়ামতপুর ও মান্দা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ছয়টি দোকান আগুনে পুড়ে যায়।
নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাহাদাৎ হোসেন বলেন, তাঁরা রাত তিনটা ৫০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান। খবর পেয়েই তাঁদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রাথমিকভাবে চা-দোকানের চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available