মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামজা খানের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে । গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে জেলা শহরের মানিকগঞ্জ পৌরসভার ( নগর ভবন) সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা মনোয়ারা খানম চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত বিশ পঁচিশজনের নামে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। হামজা খান পশ্চিম দাশড়া এলাকার মৃত জুলফিকর মালেকের ছেলে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হামজা খান তার বাড়ির সামনে বন্ধু তাওহীদুলের সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে সোহান রহমান (২৪), আদনান হোসেন (২৩), আমিনুর ইসলাম (২২), আব্দুল্লাহ আলদিন লিখন (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন আকস্মিকভাবে হামলা করে। তারা দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র দিয়ে হামজা খানকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। পরে তার পরিবার ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে হামজা খান বলেন, কিছুদিন পরেই জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিল হবে। সেখানে আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি। এটা নিয়েই মূলত সমস্যা তৈরি হয়েছে। সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় হামলার হুমকি দিলেও এবার সরাসরি হামলা করেছে। আমার মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। পিঠ এবং হাতে বেশ ক্ষত হয়েছে। যারা আমার উপর হামলা করেছে তারা মূলত পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিৎ সরকারের অনুসারী ও কর্মী বলেও জানান হামজা খান।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম জানান, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামজা খানের উপর এমন হামলার ঘটনা অত্যন্ত দু:খজনক। এই হামলার ঘটনার সাথে যদি কোন ছাত্রলীগের নেতা কর্মী জড়িত থাকে তাহলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। ছাত্রলীগ সংগঠনটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খল সংগঠন। এই সংগঠন এমন কর্মকাণ্ডকে কখনোই প্রশ্রয় দিবে না।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানা তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available