খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: যেখানে জনপদের সংস্পর্শ সেখানেই দূষণের শিকার হচ্ছে সুন্দরবনে মিঠাপানির অন্যতম বাহক কুষ্টিয়ার গড়াই নদী। কুষ্টিয়া জেলার খোকসা-কুমারখালী শহরের প্রায় সব বর্জ্যই ফেলা হচ্ছে এ নদীতে। এর প্রভাবে শুষ্ক মৌসুমে দূষণের মাত্রা প্রকট হচ্ছে। এতে নদীকেন্দ্রিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের সঙ্গে হুমকির মুখে পড়ছে সুন্দরবনের বৃক্ষরাজি ও জীববৈচিত্র্যও।
'যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান'- অন্নদাশঙ্কর রায়ের বিখ্যাত কবিতার এ গৌরী নদীরই অন্য নাম গড়াই। 'গড়াই' পদ্মার প্রধান শাখা নদী।
কুষ্টিয়া থেকে উৎপত্তি হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমের বিভিন্ন জেলা ঘুরে মধুমতি নামে এ নদী সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে মিশেছে। মিঠা পানি ও নোনা পানির সমন্বয় ঘটিয়ে সুন্দরবনের বনভূমি ও প্রাণিকূল রক্ষা করে এই গড়াই নদী। কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ এ নদীতে প্রতিনিয়ত নোংরা-আবর্জনা ফেলে দূষিত করা হচ্ছে। ।
খোকসা-কুমারখালীর এ নদীর বুকে সরাসরি ফেলা হচ্ছে সব ধরনের বর্জ্য। পৌরসভার নিজস্ব জায়গা না থাকায় নদীর বুকে বর্জ্যের স্তূপ জমছে।
স্থানীয়রা জানান, শুষ্ক মৌসুমে নদীর তীরে বর্জ্যের স্তূপ টিলার আকার ধারণ করে। এখান থেকে গড়িয়ে সব ধরনের বর্জ্য নদীর স্রোতধারায় মিশে যাচ্ছে। এ ছাড়া খোকসা বাজারের ড্রেনের দূষিত পানি সরাসরি নদীতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে চরম দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। একই সঙ্গে নদী থেকে অবৈধভাবে অপরিকল্পিত উপায়ে বালু উত্তোলন করায় কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। সচেতন নাগরিকরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পরিবেশকর্মী গৌতম কুমার রায় বলেন, এসব বর্জ্যে নদীর মাছসহ সব জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। এতে দীর্ঘমেয়াদি বিরাট ক্ষতির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য।
কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী বায়োকেমিস্ট (পরিদর্শক) নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দূষণ রোধে উদ্যোগ নিতে বিভিন্ন দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available