কুমিল্লা প্রতিনিধি: বাবা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। ১৬ মার্চ শনিবার বেলা ৪টার দিকে দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, গত ১৫ মার্চ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আত্মহত্যা করেন জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকা।
শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে অবন্তিকার মরদেহ দুপুর ২টার আগেই বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। গোসল শেষে দুপুর ৩টার দিকে কুমিল্লা সরকারি কলেজে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বেলা পৌনে ৪টায় কুমিল্লা শহরতলীর শাসনগাছা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা নামাজের পূর্বে কাঁদতে কাঁদতে অবন্তিকার ভাই অপূর্ব বলেন, যারা আমার আপুকে টর্চার করে হত্যা করেছে। তাদের বিচার করুন। এভাবে আমার আপুকে তারা টার্চার করলো, কিন্তু শিক্ষক কাছে বিচার চেয়েও ও (অবন্তিকা) বাঁচলো না। এদের সবাইকে ফাঁসি দিতে হবে।
এ সময় অবান্তিকার স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, সহপাঠী, স্বজনরা দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি দাবি করেন।
এদিকে অবান্তিকাকে এক নজর দেখতে কুমিল্লা নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ তার দ্বিতীয় জানাজায় এসে উপস্থিত হন। গতকাল থেকে তার মৃত্যুতে শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছে তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লোকজন। আত্মীয়-স্বজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে কুমিল্লায় নগরীর বাগিচাগাও এলাকা।
এর আগে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিককে দায়ী করে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক মৃত জামাল উদ্দিন ও তাহমিনা শবনমের মেয়ে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available