কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রধান শিক্ষককের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
২০ মার্চ বুধবার বেলা এগারোটায় যাত্রাপুর বাজারে বিক্ষোভকারীরা প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবি জানিয়ে তুলে ধরেন তার নানা অপকর্মের কথা।
তারা বলেন, বাসা ভাড়া বাবদ স্কুল থেকে মাসে চৌদ্দ হাজার টাকা নিয়েও বিদ্যালয়ের নিজ কক্ষের অর্ধেক বেড রুম বানিয়ে থাকেন 'যাত্রাপুর আশরাফ কামিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের' প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম।
শুধু তাই নয় অন্তরা রানি দেবী নামের এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী প্রাধান শিক্ষকের মানসিক চাপে আত্মহত্যা করার অভিযোগ স্থানীয়দের মুখে মুখে। এক মাতব্বরের পরামর্শে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত রোল এক থাকা মেধাবী ছাত্র জলিলকে সামান্য বিষয়ে টিছি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিশেষ ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে হচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত তার পাঠ করা গাইড বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরকে। মেয়েকে ল্যাব অপারেটর পদে দিয়েছেন চাকরি।
প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত মো. সফিকুল ইসলাম কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার 'যাত্রাপুর আশরাফ কামিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের' প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তার হাতে গড়া। তাই কেউ তার কাজে হস্তক্ষেপ করেন না’ বলেও অভিযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।
মানববন্ধনে যাত্রপুর গ্রামের সামাজিক মাতবর মির্জা মনির, নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, পাভেজ ভূঁইয়া, ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল মৃধা অভিযোগ করেন, ‘ওই প্রধান শিক্ষকের কারণে শিশুদের লেখাপড়া নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। যে কারণে বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে গ্রামের লোকজনের সঙ্গে শিশু শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানান।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘এলাকার সামাজিক রাজনীতির কারণে প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে এসব করছেন। তাঁদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available