খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: বহুল আলোচিত কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার মাছ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম নান্নু (৫০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)।
গ্রেফতাররা হলেন উপজেলার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মো. আতাহার আলীর ছেলে মো. সবুজ (৪৩) ও মো. সুমন (৪২) এবং মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. বাবু (২৫)। আসামি মো. সবুজ ও মো. সুমনের নামে হত্যার চেষ্টা মামলাসহ আরও দুইটি করে মামলা রয়েছে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।
র্যাব সূত্র জানা যায়, গত ২০ মার্চ বুধবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে র্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া এবং র্যাব-৩, সিপিসি-৩ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে আসামিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে মাছ চাষী আমিরুল ইসলাম নান্নু তার ইজারাকৃত জলাশায় দেখতে যাওয়ার সময় উত্তর চাঁদপুর এলাকার বটগাছের কাছে গেলে প্রতিপক্ষরা তাকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমিরুলের বাড়ি থেকে ৩শ’ মিটার দূরে একটি কলা বাগানে তার ক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় নিহতের স্বজন ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বুধবার রাতেই হত্যার সাথে জড়িতদের তিনটি বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ওই রাতেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানকে জয়বাংলা বাজার থেকে এবং সেইসাথে আরও ৬ জনকে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পরদিন বৃহস্পতিবার ইউপি চেয়ারম্যান মিজান ও মনোহর নামের দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে মোট ১৬ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের নামে হত্যা মামলা হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available