আশরাফুল আলম, ঠাকুরগাঁও : বাড়ির ছাদে টিন শেডের ভেতরে দেখা গেল বিভিন্ন প্রজাতের পাখি। কাছে যেতেই শোনা গেল কিচিরমিচির শব্দ ও কলরব। ছাঁদে গিয়েই আটকে গেল চোখ। সুন্দর পরিচ্ছন্নভাবে সাজানো পাখির খাঁচা। পাখিগুলোর মধ্যে কেউ উড়াউড়ি করছে, কেউবা বানাচ্ছেন বাসা। মনোরম এসব দৃশ্য দেখতে অনেকে আসছেন এই পাখির খামারে। এটি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও পাখি প্রেমিক তামিমের পাখির খামারের গল্প।
তামিম ঢাকা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। ২০১৪ সালে ঢাকার কাঁটাবন এলাকায় পাখি দেখে পাখি পালনের প্রতি আগ্রহ জাগে তার। বর্তমানে তার খামারে কয়েক প্রজাতির কবুতর ও বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০ জোড়ার মতো পাখি রয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে- লাভবার্ড, কোকাটেল, ফিন্স, বাজরিগার, টিয়া, সিরাজী কবুতর, সার্টিন কবুতর অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু ও দেশি-বিদেশি কবুতরসহ বিভিন্ন পাখি।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাঁটাবন থেকে প্রথমে দুটি বাজরিগার পাখি নিয়ে বাসার ছাদে একটি খাঁচায় রাখেন। পরবর্তীতে পাখি বাচ্চা দেয়া শুরু করলে সে বড় পরিসরে খামার করার চিন্তা করেন। ২০১৮ সালে বগুড়া থেকে ১২ জোড়া পাখি বাসায় এনে ছাদে তৈরি করেন একটি খামার। পরবর্তীতে পাখিগুলো ডিম দেয়া শুরু করলে, ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পাখির সংখ্যা। করোনার সময় কিছু পাখি বিক্রয় করে দেন। কিছুদিন পর সকল পাখি চুরি হয়ে যায়। তিনি ভেঙে না পরে ২০২১ সালে বগুড়া থেকে আবারও ১৮ জোড়া পাখি এনে নতুন করে শুরু করেন খামার।
তামিমের পাখির এই খামারটি করতে খরচ হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার। তার খামার থেকে ৩ বছরে প্রায় লাখ টাকা আয় করেছেন। সে পাখিগুলোকে প্রতিদিন কাউন, ভাত, খিচুড়ি, কুসুম দানা, কাঁচা বুট ও শাকসবজি খাওয়ান । দূর-দূরান্ত থেকে দর্শণার্থীরা এই খামারটি দেখতে আসেন এবং তারাও খামার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তামিম বলেন, খামারটি করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। প্রথমে আমার শখ থাকলেও এখন তা আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে।
এদিকে পাখি খামারিদের সহযোগিতা ও পশুদের চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available