রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় রাজারকুলে বিট কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের যোগসাজশে সংরক্ষিত বন উজাড় করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিনিয়তই সেখানে কাটা হচ্ছে মাদার ট্রিসহ (গর্জন গাছ) বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য এবং ধ্বংশ হচ্ছে পাহাড়।
গত কয়েক মাস আগে রাজারকুল রেঞ্জের সদর বিটের সোনাইছড়ি সড়কের দু’পাশের পাহাড় থেকে শত শত মাদার ট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার গাছ এবং ডালারমুখ জামে মসজিদের কবরস্থান থেকে অর্ধশতাধিক মাদার ট্রি (শতবর্ষী গর্জন) ও জাম গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। বন বিভাগের আধা কিলোমিটার দূরত্বে এসব গাছ কাটা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছেন নীরব ভূমিকায়। কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করছেন না তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজারকুল রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের যোগসাজশে এসব গাছ কাটা হচ্ছে। গাছ চোরের সঙ্গেও রয়েছে তার সখ্যতা। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জের সদর বিটে ২০২১ সালে বিট কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন জহিরুল ইসলাম। বিটের দায়িত্ব পেয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে তার হাত দিয়েই প্রতিনিয়ত বন উজাড় হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবছার জানান, জহিরুল ইসলাম রাজারকুল রেঞ্জের সদর বিটে যোগদানের পর থেকেই মাদার ট্রি (শতবর্ষী গর্জন) ও সেগুন গাছ কাটা পড়ছে আগের চেয়ে দ্বিগুন। এছাড়া পাহাড় কাটা, বনভূমি জায়গা বিক্রি, করাত কল পরিচালনা, ডাম্পার মালিকদের সঙ্গে মাসিক টাকার চুক্তিসহ সামাজিক বনায়ণে প্লট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সদর বিটের বেশ কয়েকটি করাত কলে নির্বিঘ্নে বনাঞ্চলের গাছ চেরাই করা হলেও কোনো অভিযান চালানো হয় না। এমনকি কক্সবাজার জেলা থেকে করাত কল সংক্রান্ত কোনো অভিযানে গেলেও তা আগে থেকে ফাঁস করে দেন বলে অভিযোগ বিট কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
কক্সবাজার উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সোহেল বলেন, কিছু অসাধু অফিসারের যোগসাজশে রামুর পরিবেশ প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। রামুর পরিবেশ ধ্বংসের জন্য রক্ষকই মূল ভক্ষক।
এবিষয়ে বিট কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেন।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সরওয়ার আলম বলেন, বিষযটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available