রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় টাকা ফেরতের দাবিতে ও ভয়ভীতি এবং হুমকির প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুলসুম বেগম নামের এক ভুক্তভোগী নারী।
২৭ মার্চ বুধবার দুপুর ২টায় প্রেস ক্লাব রামপালের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তার আপন চাচাতো ভাই মৎস্যঘের ব্যাবসায়ী শেখ ইমদাদুল হক এমদাদের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কুলসুম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ছেলে মেধাবী শিক্ষার্থী মো. সোলাইমান স্কলারশিপের মাধ্যমে ভারতের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পায়। ভারতে ভর্তি ও ভিসার জন্য ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়। নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা জমি ও সহায়সম্বল বিক্রি করে তারা টাকা জোগাড় করেন। সেই টাকা নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসের আমন্ত্রণে খুলনাস্থ ভারতীয় ভিসা কার্যালয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
পথে পেড়িখালী খেওয়াঘাটে তাদের সাথে চাচাতো ভাই ইমদাদের সাথে দেখা হয়। এ সময় সব খুলে বলেন বোন কুলসুম। সব শুনে ইমদাদ বলেন, সব টাকা আমার কাছে দাও, আমি টাকা জমা দিয়ে মানি রিসিট এনে দিবো। এরপরে টাকাগুলো তার কাছে দেয়া হয়। সেই টাকা জমা না দিয়ে সে টাকা আত্মসাৎ করে। টাকা ফেরত চাইলে বলেন, আমি তোমার ছেলেকে আর্মির চাকরি দিয়ে দিবো বলো ঘোরাতে থাকে।
কুলসুম বলেন, আমার ছেলের চাকুরি লাগবে না। টাকা ফেরত দাও। এক পর্যায়ে সে একলক্ষ টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা চাইতে গেলে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। ইমদাদুল বলেন, ‘আমি বন্দুক কিনেছি। দরকার হলে সেটি ব্যবহার করবো। তোরা কোনো টাকা পাবি না’। এতে তারা ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা খুলনা সিটি মেয়র বরাবর অভিযোগ করেন। হতাশ হয়ে অবশেষে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনায় প্রেস ক্লাব রামপালে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় তার সাথে তার স্বামী আ. সালামসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইমদাদুল বলেন, টাকার একটা বিষয় ছিল, সেটি আমার সাথে না। তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available