সোহাগ আলী, রাজশাহী: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান হাফিজের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা বলেন, দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কারণে আজ এই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের পথে। প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী আছে ৪০০ জন। তাদের সকলের কাছ থেকে প্রশংসাপত্র বাবদ ৪০০ টাকা করে গ্রহণ করছেন। বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে ১৬০ টাকা করে নিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য দাওকান্দি উচ্চ জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। সে টাকাও উন্নয়নের নামে হাতিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলের জায়গায় ৫৬টি দোকান ঘর থেকে স্কুলের নামে ভাউচার দেখিয়ে প্রতিমাসে টাকা উত্তোলন করেন। স্কুলের পুকুরগুলো লিজ দিয়ে সে টাকাও আত্মসাৎ করেন তিনি।
অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার চেষ্টা করলে দাওকান্দি এলাকার সাধারণ জনগণ শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট তার নানা অনিয়ম-দুর্নীতিসহ অবৈধ কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে তিনি তদন্ত না করে গোপনে দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান হাফিজকে মুঠোফোনে ডেকে তার সাথে সমন্বয় করে তদন্তের নামে একটি মনগড়া প্রতিবেদন তৈরি করেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। শীঘ্রই এমন দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা।
দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাউচার করে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয় জানতে চাইলে দোকান মালিকরা বলেন, আমরা যারা ছোট দোকানদার রয়েছি তাদের নিকট থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন। বড় দোকানগুলো থেকে ১০০০ টাকা করে স্কুলের নামে ভাউচার দেখিয়ে গ্রহণ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এসব দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান হাফিজ মুঠোফোনে বলেন, তারা যে অভিযোগগুলো দিয়েছে সেগুলো মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। এগুলোর কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারবে না।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available