হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: আলুর বাজার স্বাভাবিক রাখতেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা।
৩০ মার্চ শনিবার ভারতীয় ১৩টি ট্রাকে ৩৩২ মেট্রিক আলু আমদানি করা হয়। এমআর এন্টারপ্রাইজসহ কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব আলু আমদানি করেছেন।
৩১ মার্চ রোববার হিলি বন্দরে আমদানি করা আলু প্রতিকেজি ৩১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর হিলি বাজারে প্রতিকেজি দেশি আলু প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।
আমদানিকারক মেসার্স মনোয়ার চৌধুরীর প্রতিনিধি রুবেল হোসেন জানান, গেলো ১ ফেফ্রয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর আমদানিকারকেরা ৭ ফেব্রুয়রি পর্যন্ত বন্দর দিয়ে আলু আমদানি করেন। কিন্তু আলু আমদানিতে লোকসান দেখা দেওয়ায় একমাস আমদানি বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও বলেন, একমাস পর আলুর চাহিদা ও দাম বাড়ায় ৯ মার্চ থেকে আমদানিকারকেরা ফের আলু আমদানি শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি হচ্ছে। তবে গতকাল শনিবার সবচেয়ে বেশি আলু আমদানি হয়েছে।
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা ময়নুল ইসলাম বলেন, হিলি বাজারে প্রতিকেজি দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। তবে ভারতীয় আলু সব হিলির বাইরে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় বাজারে দুই একজন অল্প করে নিয়ে আসলেও বিক্রি কম হয়। ভারতীয় আলুর স্বাদ কম তাই নিতে চায় না ক্রেতারা।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ আলী জানান, দেশে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলো ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। হিলি বন্দরের ৫২ জন আমদানিকারক ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি পান। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়। মাত্র ৪ দিন ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলু আমদানি করা হয়। এরপর একমাস আলু আমদানি বন্ধ থাকে। ৯ মার্চ থেকে আবারও আমদানি শুরু হয়।
পানামা হিলি পোর্ট-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, শনিবার স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ১৩টি ট্রাকে ৩৩২ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে আলুগুলো দেশের বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন আমদানিকারকেরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available