• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৫১:৩৬ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৫১:৩৬ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

অপহৃত শিশু সোয়াদ উদ্ধার, মাস্টার মাইন্ডসহ চক্রের সদস্যরা আটক

১ এপ্রিল ২০২৪ সকাল ০৮:২২:২৫

অপহৃত শিশু সোয়াদ উদ্ধার, মাস্টার মাইন্ডসহ চক্রের সদস্যরা আটক

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজার টেকনাফের চাঞ্চল্যকর অপহৃত শিশু সোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬)কে অবশেষে কুমিল্লা থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ।

এ সময় মুক্তিপণের ৪ লক্ষ টাকা, অপহরণের কাজে ব্যবহৃত সিএনজি ও ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। একই সময় অপহরণ চক্রের মাস্টার মাইন্ড আনোয়ার সাদেকসহ চক্রের সদস্যদের আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

আটক কয়েক আসামিরা হলেন, আনু মিয়া প্রকাশ নাগু ডাকাত এর ছেলে আনোয়ার সাদেক (২১), মৃত আব্দুর শুক্কুরের ছেলে আনু মিয়া প্রকাশ নাগু ডাকাত (৫৫), আনু মিয়া প্রকাশ নাগু ডাকাতের স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩২), আনোয়ার সাদেকের স্ত্রী হোসনে আরা (২০) এবং আনু মিয়া প্রকাশ নাগু ডাকাতের ছেলে রনি (১২)। তারা সকলেই রোহিঙ্গা।

৩১ মার্চ রোববার সকালে টেকনাফ মডেল থানা হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া চার্কেল মো. রাসেল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. ওসমান গণী ও পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গেল ৯ মার্চ দুপুরে হ্নীলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে প্রথম শ্রেণীর ছাত্র সোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা অপহরণ করে। সংবাদ পাওয়ার পর অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ তৎপরতা শুরু করে।

ভিকটিম উদ্ধারের অভিযান পরিচালনাকালে জানা যায়, শিশু অপহরণের মাস্টারমাইন্ড আনোয়ার সাদেকের পরিকল্পনায় বাদীনির ভাড়াটিয়া পুরাতন রোহিঙ্গা নাছের এবং মাজুমার নেতৃত্বে উম্মে সালমা, শাহীন এবং সিএনজি ড্রাইভার নাসির আলম মাদ্রাসা থেকে বাসায় যাওয়ার পথে শিশুটিকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

পরে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে সিএনজি ড্রাইভার নাছির এবং উম্মে সালমাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আনোয়ার সাদেক, শাহীন, তোহা, নাগু ডাকাত, মধু, হোসনে আরা এবং তাদের পরিবারের সদ্যস্যরা অপহরণ চক্রের সক্রিয় সদস্য। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ আদায়ের কৌশল হিসাবে মহেশখালী থানার  কালারমারছড়ার দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে ভিকটিমের মাকে বারং বার মোবাইলের মাধ্যমে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বার্তা পাঠায়। এমনকি মুক্তিপণ না দিলে শিশুটিকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে। মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপহৃত শিশুকে বিভিন্ন সময় নির্মমভাবে মারধর করে ভিকটিমের মাসহ পরিবারের লোকজনদের কান্নাকাটির শব্দও শোনায় চক্রের সদস্যরা ।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পরে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত শিশু সোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ





সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৪:২০:৫২





আলু বীজের চড়া দামে দিশেহারা হাওরের চাষিরা
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৩:৩৬:৫৫