মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে ৩১ মার্চ রোববার রাতে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। একেকটি শিলা আকারে অনেক বড় ছিল।
চৈত্রের শেষে এমন শিলাবৃষ্টিতে বোরোসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিলাবৃষ্টির পর থেকে মৌলভীবাজারের জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. ফজলুল করিম জানিয়েছে, প্রবল ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে মৌলভীবাজারে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলমান রয়েছে।
জানা যায়, রাতে রাস্তায় থাকা সাধারণ মানুষ, পথচারী ও ঈদের কেনাকাটায় যাওয়া লোকজন বিপাকে পড়েন। শিলায় প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর আগে মৌলভীবাজারে এরকম শিলাবৃষ্টি আগে দেখা যায়নি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করছেন অনেকেই। অনেকেই গাড়ি ভাংচুরের ছবি আপলোড দিয়েছেন। কারও কারও বাসার টিনের চালা ফুটো ও জানালার কাঁচের গ্লাস শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া অনেকের ছাদে থাকা পানির ট্যাংক ও পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানা গেছে। আহত হয়েছেন খোলা জায়গায় ও রাস্তায় অবস্থান করা কেউ কেউ।
মৌলভীবাজার শহরের গবিনবদ্রশ্রী এলাকার বাসিন্দা শাহবাজ আহমদ বলেন, যে বড় আকারে শিলা পড়েছে তা আমরা ছোটবেলায় দেখেছি। এত বড় আকারে শিলাবৃষ্টিতে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জামান আহমদ বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে আহত হয়েছে এমন কোনো রোগী সদর হাসপাতালে আসেনি।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে হাওরের আগাম ধানের জাতের কিছু ক্ষতি হতে পারে। আমরা সব জায়গায় খবর পাঠিয়েছি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, গত রাতে ঝড়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে জেলাজুড়ে। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available