গুরুদাসপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : নদী (১৭), পুরো নাম নাদিয়া আখতার নদী। সে স্থানীয় বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্রী। এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া নদীর স্বপ্ন ছিলো আকাশ ছোঁয়া। ডাক্তার হয়ে সেবা করবে অসহায় মানুষের। তাই নদী তার নদীর গতিতেই ছুটে চলছিলো কাঙ্খিত সেই স্বপ্নটার পিছে।
বাবার ক্ষুদ্র ব্যবসা আর ৩ শতাংশ জমির উপর তৈরি দোচালা ঘরে বসেই স্বপ্ন দেখছিলেন অভাবের সংসারের দৈন্যতা দূর করারও। কিন্তু দরিদ্র বাবা আখতার হোসেন (৫০) ব্যবসায় লোকসান করে ঋণগ্রস্ত হয়ে পরেন। তার লিভারে ধরা পরে জটিল রোগ। নাক, কান ও গলা দিয়ে পরতে থাকে রক্ত অনবরত। দিশেহারা হয়ে পরে ছোট মেয়ে নদী।
সংসারে রয়েছে মা গৃহিনী নারগিস আক্তার(৪৫) আর ছোট বোন আফিয়া তাবাসসুম রোযা(৬)। সে স্থানীয় কেজি স্কুলে নার্সারীতে পড়ে। নদী স্বপ্ন দেখছিলেন বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর। তাই সে নিজের সুখ শান্তির কথা না ভেবে বাসা বাড়িতে ঘুরে ঘুরে টিউশানী করতেন। সেই স্বল্প টাকায়ই চলতো ৪ সদস্যের অভাবের সংসার আর নিজের লেখাপড়ার খরচ। শত কষ্টেও সে কারো কাছে হাত পাতেনি। অন্যের গলগ্রহ না হয়ে নিজের পরিশ্রমের টাকায় চলতেই সে স্বাচ্ছন্দ বোধ করত। এ কারণেই দিনরাত পরিশ্রম করলেও ক্লান্তি যেন হার মেনেছে তার কাছে। সেই নদীও আজ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। তার রক্তেও দেখা দিয়েছে সমস্যা।
এখন বেঁচে থাকতে পারাটাই যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে! দিন দিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। কিন্তু অর্থাভাবে আটকে আছে তার চিকিৎসা।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, দ্রুত চিকিৎসা করালে সুস্থ জীবনে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে নদীর। এ জন্য তার প্রয়োজন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার। কিন্তু ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা করার সক্ষমতা নেই তার পরিবারের। তাই বাবা-মেয়েকে বাঁচাতে সরকারসহ বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে হাত বাড়িয়েছেন নদী।
নদীর মা নারগিস আক্তার তার মেধাবী মেয়ে নদী ও স্বামী আখতার হোসেনর জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশ বিদেশের বিত্তবানদের সহযোগীতা চেয়েছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: নদীর বাবা ব্যাংক একাউন্ট নং ০১০০০৩০১১৫৪৬০ জনতা ব্যাংক, গুরুদাসপুর শাখা, নাটোর।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available