বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক স্থানে সাতটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
১ এপ্রিল সোমবার সকালে অগ্নিকাণ্ডের এসব ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে দ্বারীখৈর গ্রামের আলহাজ ছাবেদ আলী, জমসেদ আলী ও আনোয়ার হোসেনের টিনসেড গোয়ালঘর ও ভুষির ঘর পুড়ে আনুমানিক ছয় লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে চার বছর বয়সী তিন শিশু বাড়ির পাশের দোকান থেকে একটি ম্যাচ কিনে। তারপর তারা আনোয়ার হোসেনের গোয়াল ঘরের পিছনে রাখা পাটকাঠির স্তূপের কাছে গিয়ে ম্যাচ কাঠিতে আগুন জ্বালায় এক শিশু। শিশুটির হাতে তাপ লাগলে জলন্ত কাঠি পাটকাঠির স্তূপে ছুড়ে ফেলে দেয়। সেখান থেকে আগুন পাশের তিনটি গোয়াল ঘর ও তিনটি ঘুষির ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার আগে সোমবার সকাল সাতটার দিকে উপজেলার রামাগাড়ী গ্রামের মনোয়ারা বেওয়া, খৈইমন বেওয়া, স্বামী পরিত্যাক্তা রুমেলা খাতুন ও রুমা বেগম নামের চার ভিখারিনীর টিনসেডের শয়ন কক্ষ ও রান্না ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। নিঃস্ব হয়েছে চার ভিখারিনী। ঘরে থাকা আসবাবপত্র, কাপড় কিছুই বের করতে পারেননি তারা।
স্থানীয়রা জানান, মনোয়ারা বেওয়ার রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্রুত পাশের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এ অগ্নিকান্ডে আনুমানিক আট লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে তাদের।
দ্বারীখৈর গ্রামের মতালেব হোসেন ও রামাগাড়ী গ্রামের মাসুদ রানা জানান, বনপাড়া ফায়ার স্টেশনের দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে আসাতে উপকার হয়েছে। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যথায় আগুন পাশের বাড়িতে আরও ছড়িয়ে পড়তো।
বনপাড়া ফায়ার স্টেশন অফিসার আকরামুল হাসান তুষার জানান, রামাগাড়ী গ্রামের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না আনতেই খবর পেয়ে দ্বারীখৈর গ্রামে ছুটে যাই এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available