নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের উখিয়ায় সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মাটি পাচার আটকানোর চেষ্টার সময় বনবিট কর্মকর্তাকে ডাম্প ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
৭ এপ্রিল রোববার সকালে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সহকারী বন সংরক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাওয়াল ও জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে নিহত বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবারকে ক্ষতি পূরণ ও তার পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেয়ার দাবিও জানান। এছাড়াও বন বিভাগে কর্মরতদের ঝুঁকি ভাতা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানান বক্তারা। একই সাথে গাজীপুরের বনখেকো, ভূমিদস্যুদের প্রতি হুঁশিয়ারিও দেয়া হয় মানববন্ধন থেকে।
প্রসঙ্গত: গত ৩১ মার্চ ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল একদল বনদস্যু। খবরে পেয়ে বনবিভাগের দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানসহ কয়েকজন বনকর্মী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনিসহ মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনকে পাচারকারীদের মাটিভর্তি ডাম্প ট্রাক চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সাজ্জাদুজ্জামানের মৃত্যু হয় এবং মোহাম্মদ আলী নামের এক বনরক্ষী আহত হন।
নিহত মো. সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জের গজরিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে।
এ ঘটনায় গত ৩১ মার্চ রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১ এপ্রিল বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণমারা এলাকার মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে ও ডাম্প ট্রাকের চালক মো. বাপ্পী (২৩), একই এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে ছৈয়দ আলম ওরফে কানা ছৈয়দ (৪০) ও তার ছেলে মো. তারেক (২০), রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল এলাকার নুরুল আলম মাইজ্জার ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৭), হরিণমারা এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে ছৈয়দ করিম (৩৫), একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আনোয়ার ইসলাম (৩৫), আব্দুর রহিমের ছেলে শাহ আলম (৩৫), হিজলিয়া এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে বাবুল (৫০), একই এলাকার ফরিদ আলম ওরফে ফরিদ ড্রাইভারের ছেলে রুবেল (২৪) এবং হরিণমারা এলাকার শাহ আলমের ছেলে কামাল উদ্দিন ড্রাইভার (৩৯)। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ১০ জন আসামি থাকলেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পেরেছে মাত্র ১ জনকে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available