নীলফামারী প্রতিনিধি: দোকান থেকে কম দামে প্রয়োজনীয় পোষাকটি কিনতে কে না চায়, আয় সীমিত হলেও ঈদে কেনা কাটার জন্য কিছু টাকা আলাদা করে রাখে অনেকেই।
প্লাজা সুপার মার্কেটে মেয়ের জন্য পোষাক কিনতে আসা রোমেশা শান্তি বলেন, মেয়ের জন্য পোষাক কিনলাম। বাজারের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক।
রাফিকা আক্তার শিমু বলেন, আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বাজার। তারপরও সন্তানের আবদার মেটাতে তার প্রিয় পোষাক কিনে দিলাম। একটা সময় এসে মা বাবার আর চাহিদা থাকে না। অনেক সময় সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে নিজেদের কেনা কাটা হয়ে উঠে না।
ইমিটেশনের কানের দুল, চুড়ি ও পারফিউমের দোকানেও ভিড় আছে। ঈদমার্কেটে সাধারণত সকালে আর বিকাল থেকে রাতপর্যন্ত ভিড় হচ্ছে। দুপুরে রাস্তাঘাট দোকান পাটে লোকজনের উপস্থিতি একেবারেই কম। এর কারণ প্রচন্ড তাপদাহ।
এদিকে সৈয়দপুরে টেইলার্স গুলোতে খোঁজ নিয়ে জান গেছে, অনেকে নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। প্রচুর কাজের চাপে হিমসিম খাচ্ছেন প্রায় সবগুলো টেইলার্সের দোকান।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর শহীদ ডা. জিকরুল রোডে লিটন টেইলার্সের মালিক আলামিন বলেন, আমরা রোজার ১০ দিন আগে থেকে কাজ শুরু করেছি পুরো দমে। এবার কাজের চাপ বেশি, তাই ঈদের আগে সকল পোশাক ডেলিভারি দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। বর্তমানে নতুন করে কোনো অর্ডার নেয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর এসআর প্লাজা মার্কেটের কাইটস ফ্যাশনের মালিক অলিউডর রহমান রতনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন অভিজাত বিপণিতে, ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে রমজানের দশদিন থেকেই। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, অভিজাত বিপণিতে বেচাকেনা তুলনামূলকভাবে কম। ভারতীয় কাপড়ের পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, শাড়ির বেচাকেনা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু আধিক্য কম। দেশি সুতি কাপড়ের চাহিদা বেশি। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে সাধারণ ঈদ মার্কেটে। গরিবের মার্কেট হিসেবে পরিচিত নীলফামারীর সৈয়দপুরে মার্কেটে ভিড় বেশি। এবার শিশু ও কিশোরদের পাঞ্জাবি, জুতা, স্যান্ডেল ও টি-শার্ট এবং থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশি। বড়দের জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে কম।
এদিকে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বরাবর ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের তারকারা যে সব পোশাক পরেন তার প্রতি এদেশীয় মেয়েদের দুর্বলতা থাকে। তারাও সে বিষয়টি মাথায় রেখে দোকানে পোশাক তুলেছেন। বিক্রিও বেশ সন্তোষজনক। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বিক্রিও তত বাড়ছে। ঈদ উপলক্ষে শহরের প্রতিটি বিপণি বিতানে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। এ জন্য প্রশাসনও রয়েছে সজাগ। ক্রেতা বিক্রেতারা যাতে নির্বিঘ্নে কেনাবেচা করতে পারেন সে জন্য প্রশাসন নিয়েছে কয়েক স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নীলফামারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর জানান, ঈদ সমাগত। কেনাকাটা করার জন্য শহরের সকল মার্কেটে মানুষের উপচেপড়া ভীড়। এই অবস্থায় মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে পারে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সকাল থেকেই মার্কেট ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকছে। এর বাইরেও রয়েছে পুলিশের মোবাইল টিম। আশা করছি, ক্রেতারা ভালভাবেই কেনাকাটা করে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available