মোহাম্মদ শফিক, জেলা প্রতিনিধি (কক্সবাজার) : আবারও কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০, ১১ ও ১২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও জিনিসপত্র পুরে ছাই হয়ে গেছে। ৫ মার্চ রোববার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ক্যাম্পের ‘ডি’ ব্লকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে জানা গেছে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ও উখিয়া থানা পুলিশ। এসময় মুহুর্তের মধ্যেই আগুনের লিলাহিন শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে রোহিঙ্গারা দিকবেদিক ছুটতে থাকে।
স্হানীয় সূত্রের দাবি, রোহিঙ্গাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ও নানান অন্তঃকোন্দল নিয়ে বিভিন্ন সময় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটে।
আরও জানা যায়, আজ আগুন লাগার পূর্বে সকালের দিকে ওই ক্যাম্পে গুলাগুলির ঘটনাও ঘটে। বার বার ক্যাম্পে আগুন লাগার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন গভীরভাবে তদন্তে নামলে ঘটনার মূল রহস্য বের হয়ে আসবে বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয়রা।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা বলেন, প্রায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি।
কক্সবাজার উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাদিম আলী জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেই গিয়েছি। তবে আগুন সূত্রপাত এখনও জানা যায়নি । হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষতির পরিমাণ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা থেকে জেনে জানাবো।’
কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা জানান, প্রাথমিক তদন্তে ২ হাজার ঘর বাড়ি পুড়ে গেছে এবং ১০ থেকে ১২ হাজার লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তদারকে বিভিন্ন দাতা সংস্থা সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তাছাড়া কেন বার বার ক্যাম্পে আগুন লাগছে তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনে কাজ চলতছে।
এর আগেও বালুখালীর ৯ ও ১০ নম্বর ক্যাম্পে আগুন লেগে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়েছিল শতশত রোহিঙ্গাকে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available