মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তার পরিষদের তিনজন সদস্যকে পিটিয়ে আহত করারসহ তাদের মোটরসাইকেল নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানের চাচার পক্ষে কাজ না করায় ইউপি সদস্যদের উপর হামলা হয়েছে বলে দাবি আহতদের।
৭ এপ্রিল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আরুয়া ইউনিয়নের কুষ্টিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য জয়নাল আবেদীন জানান, তারা ৫ জন ইউপি সদস্য রোববার রাতে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রহিম খানের ডাকে তার কাছে যান। রহিম খান প্রতিবছরের ন্যয় দুস্থঃদের মাঝে ঈদের শুভেচ্ছা তাদের মাধ্যমে বিতরণ করেন। যে কারণে এবারও রহিম খানের সাথে তারা দেখা করে রোববার রাতে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে আসছিলো।
রাতে ১২টার দিকে ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য জমাত আলী ও ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আয়নাল মোল্লাকে তাদের বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামনে তাদের দুটি মোটরসাইকেল গতিরোধ করেন আরুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোনায়েম মোন্তাকিন খান অনিক ও তাদের লোকজন।
এসময় চেয়ারম্যান জানতে চান কোথায় যাওয়া হয়েছিলো। রহিম খানের কাছে যাওয়ার কথা বলার সাথে সাথে চেয়ারম্যান নিজে ও তার লোকজন তাদের উপর ধারালো অস্ত্র , হাতুরি ও লাঠি দিয়ে হামলা করে। এতে তার মাথায় ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারত্বক জখম হয়। তারা ইউপি সদস্য দেলোয়ারকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হাত ও ও পা ভেঙ্গে দেয় এবং ইউপি সদস্য সোহেল রানাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
পরে তাদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল পদ্মা নদীতে ফেলে দেয় হয়। তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসার পর চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে চলে যায়। রাতেই স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত তিনজন ইউপি সদস্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার দুপুরে শিবালয় থানা পুলিশ মোবাইল ফোনে তাদের কাছ থেকে হামলার ঘটনার বিস্তারিত শুনেন। হাসপাতালে থাকার কারণে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে পারেনি।
আরেক ইউপি সদস্য সোহেল রানা বলেন, তাদের উপর হামলা হয়েছে মুলত চেয়ারম্যানের চাচা বর্তমান শিবালয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানু এবারও নির্বাচন করবেন। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খানও নির্বাচন করবেন। আমরা গরিব মানুষের জন্য রহিম খানের কাছ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা আনার কারণে আমাদের উপর হামলা হয়েছে।
আরুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোনায়েম মোন্তাকিন খান অনিক বলেন, তার তিনজন ইউপি সদস্যর সাথে কারো মারামারি হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। সোমবার সারাদিন ভিজিএফ-এর চাউল বিতরণে ব্যস্ত থাকায় তাদের বিষয়ে আর খোঁজ খরব নেওয়া হয়নি। হামলার ঘটনায় আপনি জড়িত এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, কালরাতে কোথায় ঘটনা ঘটেছে আমি এর কিছুই জানি না। জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
শিবালয় থানার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, ইউপি সদস্যদের মারধরের ঘটনা লোক মারফর শুনেছি। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলের পাশে পদ্মানদীর পাড় থেকে পুলিশ দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available