রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি: কালবৈশাখী ঝড়ে ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বজ্রপাতে নারী, শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে। ঝড়ে উপজেলার চায়ের দোকানদার বাবুল হাওলাদারের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। এনজিও থেকে চরা সুদে লোন নিয়ে মাত্র ৬ মাস আগে চার লাখ টাকা ব্যায় করে একটি টিনসেট বসত ঘর নির্মাণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ৭ এপ্রিল রোববার সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে মুহূর্তের মধ্যে বসত ঘরটি সম্পূর্ণ ভেঙে যায়।
বর্তমানে স্ত্রী, শাশুড়ি, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটছে তাদের। শুধু বাবুল হাওলাদারের ঘরই নয় উপজেলার প্রায় ২৫টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এতে মানবেতর জীবন যাপন করছে ওই পরিবারগুলো। এছারাও দুই শতাধিক ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে কালবৈশাখী ঝড়ে। অসংখ্য গাছপালা উপরে পরেছে। ফসলেরও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল থেকে উপজেলার গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যু সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা শহর, শুক্তাগড় ও বরইয়া ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় এখনও অনেকের ঘরের উপরের গাছ পরে আছে। এতে ভোগান্তি বেরেছে কয়েক গুন। বসতঘর বিধ্বস্ত, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার ছিরে বৈদুতিক খুঁটি উপরে পরেছে। গ্রামঞ্চলে এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছে।
রাজাপুর উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে রাজাপুর উপজেলায় ২৫টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available