কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ক্যাপসিকাম। দেশের বাজারে লাল, সবুজ ও হলুদ এই তিন রঙের ক্যাপসিকাম পাওয়া যায়। যা সালাদ হিসেবে খাবারে বাড়তি স্বাদ ও বাহার যোগ করে। বিদেশি এ সবজিটির রয়েছে নানা স্বস্থ্য উপকারিতা। এ কারণে দেশের বাজারে দিনদিন কদর বাড়ছে ক্যাপসিকামের।
বর্তমানে বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ক্যাপসিকাম। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় উপজেলার বারোবাজারে শুরু হয়েছে এর বাণিজ্যিক চাষ।
সরেজমিনে উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় কৃষক শাহীন হোসেনর সঙ্গে। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা নিয়ে নিজের ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করি। গত ৪ মাস আগে জমি তৈরি করে রোপণ করি উচ্চ ফলনশীল ক্যাপসিকাম। যা থেকে ফল আসতে শুরু করেছ।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গাছ থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত ক্যাপসিকাম পাওয়ার আশা করছি।
পিরোজপুর গ্রামের রবিউল বলেন, আমাদের এলাকায় এই প্রথম দেখলাম মিষ্টি মরিচ বা ক্যাপসিকামের চাষ। শাহীন ফসলটি চাষ করেছেন আমিও তার দেখাদেখি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুব আলম রনি বলেন, ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি লাভজনক ফসল। দেশের বাজারে এর ভালো দাম পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে শাহীন হোসেন নামের এক কৃষক পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিকামের চাষ শুরু করেছেন। আমরা আশা করছি, আগামীতে এলাকায় আরও বড় পরিসরে ক্যাপসিকামের চাষ হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available