স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর: ফরিদপুরের কানাইপুরে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং হাসপাতালে আনার পরে আরও দুজনসহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের সদস্য আছে চার জন।
একই পরিবারের নিহত চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তারা মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৩৫), রফিকের স্ত্রী সুমী বেগম (২৩), তাদের দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩)। এই পরিবারের আরেক সদস্য নিহত রফিকের মা হুরি বেগম (৬০) আহত হয়ে শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত রফিক মোল্লা ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষ করে তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপে করে ঢাকায় ফিরছিলেন।
এছাড়াও নিহত হয়েছেন শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম এবং বোয়ালমারী উপজেলার কুমরাইল গ্রামের ইকবাল হোসেনের স্ত্রী পপি বেগম। একই ঘটনায় গুরুতর আহত ইকবাল হোসেনকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। আর তাদের শিশুসন্তান বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু কলেজ হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাক্তার দীপক কুমার বিশ্বাস জানান, হাসপাতাল আনার পরে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, অন্য পাঁচজন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তারা শঙ্কামুক্ত বলেও দাবি করেন তিনি।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদ আলম জানান, দুর্ঘটনার পর পরই খবর পেয়ে পুলিশের উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করে। ওই সড়কের যান চলাচল বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি আরও জানান, দ্রুতগতির কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
অপরদিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানান, ঘটনায় হতাহতদের খোঁজখবর রাখছে জেলা প্রশাসন। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা। নিহতদের প্রত্যককে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সরকার ঘোষিত পাঁচ লাখ টাকা প্রতি পরিবারকে দেয়া হবে। তিনি জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের ব্যাপারে কাজ করছে প্রশাসন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available