ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের খাগাটি জামতলি এলাকার আব্দুল কাদের জিলানীকে শবে কদর রাতে মামুন ও সোহাগ বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।
১৪ এপ্রিল সোমবার বিকেলে উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকায় মানববন্ধন ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিচার প্রার্থীরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য লাল মিয়া, এলাকাবাসী, জিলানীর পরিবারসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি সদস্য লালমিয়া বলেন, আব্দুল কাদের জিলানী সামাজিক লোক ছিল। জিলানী সবসময় এলাকায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো সমাজের খারাপ শ্রেণির লোকেরা এটা মেনে নিতে পারতো না। তাই তাকে মেরে ফেলার জন্য এর আগেও কয়েকবার হামলা করেছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে। তার বাড়ি ঘরও হামলা করা হয়েছে। গত পবিত্র রমজান মাসের শবে কদর রাতে জিলানী তার বাবার কবর জিয়ারত করতে গেলে, খবর পেয়ে ওত পেতে থাকা মামুন ও সোহাগ বাহিনী দলবল নিয়ে এসে গাড়িতে হামলা করে এবং তাকে সেখান থেকে টেনে হিছরে নামিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
মানববন্ধনে থাকা জিলানীর ছেলে রাকিবুল হাসান কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বাবার সাথে আমি ছিলাম, মামুন ও সোহাগ বাহিনী আমার বাবাকে আমার কাছ থেকে টেনে হিচরে নামিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি ফেড়াতে গেলে ওরা আমার উপরে আক্রমণ করে।
একই এলাকার বাসিন্দা রহিমা খাতুন বলেন, জিলানী খুব ভালো মানুষ ছিল। সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো, খারাপ লোকেরা জিলানীকে হত্যা করার জন্য আরও একাধিকবার হামলা করেছিল। অবশেষে ৬ এপ্রিল শবে কদর রাতে তার বাবার কবর জিয়ারত করতে আসলে মামুন সোহাগ বাহিনী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণের থাকা সালমা আক্তার বলেন, জিলানী ছিলেন পরোপকারী ভালো মানুষ। তিনি সব সময় গরীব দুঃখী মানুষের উপকারে এগিয়ে যেতেন।
সমাজের এক শ্রেণির লোকেরা যাতে বিনা বাঁধায় খারাপি করতে পারে সেই জন্য জিলানীর উপর বারবার আক্রমণ করে আসছিল, নানা ধরনের চক্রান্ত করে জিলানীকে প্রথমে এলাকা ছাড়া করেছে। পরে শবে কদরের রাতে বাড়ির পাশে মামুন ও সোহাগ বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
জিলানীর কিশোরী মেয়ে মিম আক্তার বলেন, ওদের অত্যাচারে আমি লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছি। আমি স্কুলে গেলে তারা স্কুলে যাওয়ার পথে বাঁধা সৃষ্টি করতো। আমার বাবাকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমার বাবার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available