নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পৌর সদরের নোভা হসপিটালে বাচ্চা প্রসবের সময় ভুল চিকিৎসায় শিমু আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়ন বেল্টা গ্রামের রফিক মিয়ার মেয়ে।
পরিবার বলছে, শিমু আক্তার ৮ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা না করে বাচ্চা নরমালে প্রসবের চেষ্টা করে ডা. ওরফিতা দাস। অপারেশনে কোন প্রকার অস্ত্র পাচার ছাড়াই হাতের নক ধারা টেনে নাড়িভূঁড়ি ছিড়ে বাচ্চা প্রসব করা হয়।
এতে প্রসূতির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শনিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা কুচাতলি হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে আইসিইউতে মৃত্যুবরণ করেন প্রসূতি শিমু।
নিহত শিমু আক্তারের পরিবারের দাবি, নাঙ্গলকোট নোভা হসপিটালের ডা. ওরফিতা দাস ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে প্রসূতি শিমুর। এ বিষয়ে জানতে ডা. ওরফিতা দাসকে মুঠোফোন একাধিক বার কল করেও পাওয়া যায়নি।
নিহতের স্বামী অভিযোগ করে বলেন, নোভা হসপিটালের ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রী মারা গেছে। ভুল চিকিৎসায় স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনি সুষ্ঠু বিচার ও হসপিটালের মালিকের শাস্তির দাবি করেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যান তৌয়া হোসেন স্বাধীন বলেন, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকায় মীমাংসা করা হয়েছে।
ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী জানান, বিষয়টি জেনেছি আমার কাছে এ ধরনের অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available