ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এশার নামাজ আদায়ের সময় মসজিদের সামনে পটকা ফোটানোর প্রতিবাদ করার জেরে দুই জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত দুই জনকে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী তাঁর কর্মী-সমর্থক দাবি করেছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, পলাশ সাখিতার (৩৫) ও নাসির হোসেন (৩০)। তাঁরা বারইল নলপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। পলাশ সাখিদার একজন সিএনজি চালক। তাঁকে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
২০ এপ্রিল শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের বারইল নলপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পলাশ সাখিদার ও নাসির হোসেন ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের এবং মারধর কাজে জড়িতরা অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী তাইফুল ইসলাম তালুকদারের সমর্থক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বারইল নলপুকুর গ্রামের মসজিদে শনিবার রাতে এশার নামাজ আদায় করছিলেন মুসল্লিরা। এ সময় ওই গ্রামের বাসিন্দা নীরব হোসেনসহ কয়েক জন তরুণ ভ্যানযোগে যাওয়ার সময় পটকা ফোটান। এতে গ্রামের পলাশ সাখিদার তাঁদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে পলাশ সাখিদার নীরব হোসেনকে মারপিট করেন। এরপর রাত সাড়ে নয়টার দিকে নীববসহ ১০-১২ জনকে নিয়ে পলাশ সাখিদারের বাড়িতে যান। সেখানে পলাশ সাখিদার ও নাসিরকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সেখান থেকে আহত দুই জনকে উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। পরে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার বলেন, আহত দুই জন আমার সমর্থক। তাঁদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিচ্ছি। তাদের চিকিৎসা শেষে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন তাদের ভালভাবে চিকিৎসা দরকার।
এ ব্যাপারে জানতে আজ সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারের মুঠোফোনে কল করা হলে অন্য একজন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, তাইফুল ইসলাম ব্যস্ত আছেন। আপনার সঙ্গে পরে কথা বলবেন। পরে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন রিসিভ করা হয়নি।
তাইফুল ইসলাম তালুকদারের কর্মী মামদপুর ইউপির সাবেক আব্দুর রশিদ বকুল বলেন, পটকা ফোটানো জেরে আগে আমাদের ছেলেদের মারধর করা হয়েছে। যাঁরা আমাদের ছেলেদের আগে মারধর করেছেন তাঁরা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের কর্মী-সমর্থক।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আহত দুই জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available