জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে উপজেলা নির্বাচনপূর্ব সহিংসতায় দুই জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই মামলায় আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়৷
২১ এপ্রিল রোববার আহত নাসির হোসেনের বাবা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
ক্ষেতলাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলায় প্রতিপক্ষের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
এর আগে ২০ এপ্রিল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের নলপুকুর গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব দুলাল মিয়া ও চেয়ারম্যান প্রার্থী তাইফুল ইসলাম তালুকদারের লোকজনের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ভোটের মাঠের আধিপত্য নিয়ে উপজেলার দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর জখম হয় দু' জন।
আহতরা ব্যক্তিরা হলেন, পলাশ সাখিদার (৩৫) ও নাসির হোসেন (৩০)। তারা বারইল নলপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। পলাশ সাখিদার একজন সিএনজি চালক। তাদের ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পলাশ সাখিদার ও নাসির হোসেন ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব দুলাল মিয়ার সমর্থক।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, তাইফুল ইসলাম তালুকদারের পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে পলাশ সাখিদার ও নাসির হোসেনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেছে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন৷ইতোমধ্যে দুই আসামি কোরবান ও জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available