জাকির হোসেন, ( ঠাকুরগাঁও ) প্রতিনিধি: নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে অধিকাংশ ইটভাটা গুলো অবৈধভাবে চালালেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলায় যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে ওঠায় বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের কাঠ পোড়ানো হয় বলে জানা গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। উজাড় হচ্ছে ফলজ বনজ গাছ, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশও।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করলেও বন্ধ হয়নি এসব অবৈধ ইট ভাটা গুলো।
জানা গেছে, রাণীশংকৈল উপজেলায় প্রায় ২৮ টির মত ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার কোনোটিরই জেলা প্রশাসনের অনুমতি সনদ (লাইসেন্স) নেই। তবে জেলা প্রশাসন বলছেন, আইন অমান্য করে যেসব ইটভাটা চলছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সরকারি নির্দেশনা রয়েছে ইটভাটা স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী অনুমোদন নিতে হবে। অথচ পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মহল বাড়িতে এনবিবি ইটভাটাসহ আরও অনেক ভাটা চলছে নিয়মিত ফলজ ও বনজ কাঠ পুড়িয়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এনবিবি নামে এই ইট ভাটাটিতে সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুরো দমে চলছে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ। এই এনবিবি ভাটায় স্তুপ করা হয়েছে কয়েকশ মণ কাঠ। দেখে মনে হচ্ছে কাঠ পোড়ানোর মহা উৎসব পালিত হচ্ছে।
এনবিবি ইট ভাটার মালিক ও রাণীশংকৈল ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন বিপ্লব বলেন, আমাদের ইট ভাটায় আমরা যা খুশি করবো কিছু করার থাকলে করেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) ইন্দ্রজিৎ সাহা জানান, আমরা রাণীশংকৈলের ১০টি ইট ভাটাতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার উপরে জরিমানা করেছি। অভিযোগ পেলে আবারও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এসব অবৈধ ইট ভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে আমি ইউএনও সাহেবকে বলে দিচ্ছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available