রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরে ফেসবুকে সম্পর্ক করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার রংপুর সদরের লাহিড়ী হাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া অপহরণ চক্রের সদস্যরা হলেন কলেজ শিক্ষার্থী মোছা. মারিয়া চৌধুরী (১৯), মারিয়ার প্রেমিক জাহাঙ্গীর (২০) এবং তাদের তিন সহযোগী মাসুদ রানা, শিহাব এবং তুষার।
কলেজের শিক্ষার্থী প্রতারক মোছা. মারিয়া চৌধুরী (১৯) রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউপির ঈশ্বরপুর শালমারা গ্রামের আক্তারুল ইসলাম চৌধুরীর মেয়ে। মারিয়ার প্রেমিক জাহাঙ্গীর ও সহযোগীরা সকলেই রংপুর মহানগরীর সাতগারা মিস্তিরি পাড়া ও গনেশপুরের বাসিন্দা।
সিঙ্গার কোম্পানির রংপুর ব্যাজের এরিয়া ম্যানেজার মো. শামস আল-আরেফিন ওরফে হাদী (৪৩) এর সাথে কয়েক মাস আগে ফেসবুক ম্যাসেন্ঞ্জারে পরিচয় হয় কলেজ ছাত্রী মোছা. মারিয়া চৌধুরীর। পরিচয়ের প্রথম দিকে ম্যানজার হাদী মারিয়া চৌধুরীকে সাক্ষাতের জন্য রংপুর মহানগরীর ডিসির মোড় এলাকায় আসতে বলেন। হাদী তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত সাদা রংয়ের টয়োটা করলা ঢাকা মেট্রো-গ-২৮৭২১১ নং গাড়ি নিয়ে উল্লেখিত স্থানে এসে মারিয়াকে জাহাঙ্গীর(২০) নামে অপর এক প্রেমিকসহ দেখতে পান। হাদী তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন।
এরপরও ফেসবুক মেসেঞ্জারে হাদী এবং মারিয়ার সম্পর্ক চলতে থাকে। ঘটনাক্রমে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার ম্যানেজার হাদী মারিয়ার সাথে দেখা করতে রংপুর মহানগরীর কেরানি পাড়া মোড় আইডিয়াল স্কুলের সামনে আসেন। পূর্ব পরিকল্পনা মতো মারিয়া তার অপর প্রেমিক জাহাঙ্গীর ও তিন সহযোগী মাসুদ রানা, শিহাব এবং তুষারসহ সেখানে অবস্থান নেন। ম্যানেজার হাদী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সিন্ডিকেট সদস্য তুষার তাৎক্ষণিক হাদীর গাড়িটি নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেন।
এর পর তুষার ড্রাইভ করে শহর থেকে সদর উপজেলার শ্যামপুরে আসেন। পথিমধ্যে হাদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকার দাবি করেন তারা। জীবন বাচাঁনোর তাগিদে হাদী তার মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক অ্যাপসের মাধ্যমে পঞ্চাশ হাজার টাকা মোবাইলে হস্তান্তর করেন। চক্রের সদস্যরা টাকা উত্তোলনের জন্য শ্যামপুর থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তরে লাহিড়ী হাট নামক স্থানে আসেন। এ সময় রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ গাড়ির গতিরোধ করলে হাদী ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালাতে চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ গাড়িসহ সকলকে আটক করে রংপুর সদর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় পরে সিঙ্গার রংপুর-এর এরিয়া ম্যানেজার বাদী হয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার শিকার সিঙ্গার কোম্পানির রংপুর এরিয়া ম্যানেজার মো. শামস্ আল-আরেফিন হাদী বসবাস করেন রংপুর মহানগরীর জেল রোডের একটি ভাড়া বাড়িতে। তিনি নীলফামারীর কিশোরগন্জ উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available