কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: গ্রীষ্মের তাপদাহ ও খড়ায় পুড়ছে কুড়িগ্রাম। প্রখড় রোদ ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ার নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে ফসলের খেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। পানির জন্য সর্বত্র হাহাকার অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করে বিশেষ মোনাজাত করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ।
আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ৯টার দিকে সদরের পাঁছগাছী ইউনিয়ন বাজার ঈদগাহ মাঠে কয়েকশ’ ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হয়ে বিশেষ নামাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিশেষ এই নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন।
মোনাজাতে অংশ নেয়া মুসল্লিগন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া করেন।
অপরদিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে। তবে আপাতত তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বাবুল নামের এক মুসুল্লি বলেন, আমার বয়স ৫০ বছর। আমার জীবনে আমি এমন গরম দেখি নাই। এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে আজ বিশেষ নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ পাক যেন বৃষ্টি দেয়, পরিবেশটা যেন ঠান্ডা হয়ে যায়।
মুরাদ নামের আরও এক মুসুল্লি বলেন, সারাদেশে যে তীব্র দাবদাহ চলছে। এর পরিপ্রক্ষিতে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলাম এবং ইসতিসকার নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ তালা যেন রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন জমিনে।
বিশেষ নামাজে মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন বলেন, তীব্র খড়ার কারণে দেশে দাবদাহ সৃষ্টি হয়ছে। ফলে পরিবেশের উপর প্রভাব পড়েছে। শুধু তাই না তীব্র তাপদহের কারণে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা বিশেষ নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করেছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available