সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় নোয়াখালীর সেনবাগেও বইছে তাপপ্রবাহ। এই প্রচণ্ড গরমে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে কামলা (শ্রমিক) সংকট প্রকোট আকার ধারণ করেছে। তবে কৃষকদের মাঝে আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে ধান কাটার অটোমেটিক মেশিন কম্বাইন হারভেস্টার।
অতিরিক্ত জনবল ছাড়াই অল্প খরছে ধান কাটা, মাড়াই, ধান গাছের খড় সারিবদ্ধ জমিনে রেখে দেওয়া এবং মাড়াই করা ধান এক জায়গায় স্তূপ বা বস্তায় ভরে দেওয়া হচ্ছে এক মেশিনেই। ফলে কৃষকদের সাশ্রয় হচ্ছে সময় ও টাকা।
জানা গেছে, এ বছর সেনবাগ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৯ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এখন ধান কাটার সময় দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। আর শ্রমিক পাওয়া গেলেও সকালে নাস্তা, তিন বেলা খাবার, বিড়ি, সিগারেট, রাতে থাকার ব্যবস্থাসহ প্রতিদিন কাজ করতে পারিশ্রমিক দিতে হয় ৭০০ টাক থেকে ৮০০ টাকা। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
তাই উৎপাদন খরচ কমাতে সেনবাগ উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পাঁচতুপা গ্রামের কৃষক মহিন উদ্দিন টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রাম থেকে আবুল কাশেমের একটি হারভেস্টার মেশিন চুক্তিতে ভাড়া করে নিয়ে আসেন সেনবাগে। গত ১০ দিন যাবত এখানে প্রতিগন্ডা জমির ধান কাটেন ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকায়। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ কানি জমির ধান কাটা যায় এই মেশিনে। যেখানে প্রতিগন্ডা জমির ধান কাটতে কৃষকদের খরচ করতে হতো ১ হাজার টাকা থেকে ১২০০ টাকা বর্তমানে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটতে খরচ হচ্ছে সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টকা।
সেনবাগ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, বিগত বছরগুলোতে সেনবাগ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে ৮টি হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে কৃষকদের মাঝে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available