দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: ফজলুর রহমান (৩৫) দৌলতপুর ১৮ নং হাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। দুই বছর ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত তিনি। টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের পংতিরছা গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমান। বাড়িতে টিনের ঘরে বর্তমানে মানবতের জীবনযাপন করছেন তিনি।
ফজলুর রহমানের ২০১৭ সালে দৌলতপুর ১৮ নং হাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিতে যোগদান করেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকায় নেয়া হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। কিন্তু টাকার অভাবে ক্যান্সারে আক্রান্ত এই স্কুল শিক্ষক বর্তমানে বিনা চিকিৎসায় তার বাড়িতে রয়েছেন। প্রতিনিয়তই চিৎকার-চেঁচামেচিতে দিন কাটে তার। একদিকে চিকিৎসার টাকা নেই। অন্যদিকে ১১ বছরের মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তার স্ত্রী শিখা আক্তার। আয়ের বিকল্প উপায় না থাকায় অভাবে দিন কাটছে পরিবারটির।
অন্য কোনো উপায় না পেয়ে এখন ঠাঁই হয়েছে শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে মেয়ে ও স্ত্রী শিখাকে নিয়ে কাটছে ফজলুর রহমানের কষ্টের জীবন। অসুস্থ ফজলুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি মোবাইল ফোনে জানান, ‘আমাকে চিকিৎসা করতে গিয়ে আমার পরিবার শেষ হয়ে গেছে। এখন দারদেনা করতে করতে হাত পাতার জায়গাও নেই।’
ফজলুর রহমানের স্ত্রী শিখা বলেন, খেতেই পাই না চিকিৎসা কীভাবে করাব। মানুষের সহযোগিতায় এতদিন চিকিৎসা চলছে। চকমিরপুর বাসিন্দা আবু সাঈদ মুসা বলেন, দুই-একটা ওষুধ কিনে দেই, তবে এতে হয় না।
দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম রাজা বলেন, আমি জানি সে ক্যান্সার আক্রান্ত। আমার পক্ষ থেকে তাকে সহায়তা করেছি।
ক্যান্সারে আক্রান্ত ফজলুর রহমানের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিয়ান নুরেন বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখি, তার চিকিৎসার ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
তবে এই বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার মুঠোফোনে জানান, প্রশাসনিকভাবে আমাদের যতটুক সহায্য করার সুযোগ থাকে আমরা তাকে করব।
সরকার সহাযোগিতা করবে এমনটাই প্রত্যাশা দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর পংতিরছা এলাকাবাসী ও ফজলুর রহমানের পরিবারের।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available