রোমানুল ইসলাম সোহেব, দৌলতখান (ভোলা) : ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ভোলার দৌলতখান উপজেলার জেলেরা পাননি পুনর্বাসনের চাল। এতে অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে বেকার জেলেদের। দেনা আর মহাজনের দাদনের দায় মাথায় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। সংকট দূর করতে নিষেধাজ্ঞা সময়ের মধ্যেই সরকারি চাল পেতে চান জেলেরা।
তবে মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, খুব দ্রুত এ চাল বিতরণ প্রক্রিয়া শেষ হবে।
ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ। আর তাই বেকার জেলেদের চলছে দুর্দিন। আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম সংকটে পড়েছেন তারা। এদিকে দৌলতখান উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা না থাকায় মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা নিয়েও চলছে দোটানা।
নিষেধাজ্ঞা থাকায় একদিকে সংসারের চিন্তা, অন্যদিকে এনজিও আর মহাজনের ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলেরা। এমন বাস্তবতায় জেলেদের জন্য ৮০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তা পৌঁছায়নি নয় দিনেও। এতে চরম জীবিকা সংকটে পড়েছেন তারা।
ভোলা দৌলতখান উপজেলার পাতারখাল মাছঘাট, সৈয়দপুরের বিভিন্ন মাছঘাট, চরপাতা ইউনিয়নের মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার সময় পার করছেন জেলেরা। কেউ জাল বুনছেন, কেউবা নৌকা মেরামত করে সময় পার করছেন।
সৈয়দপুর ইউনিয়নের লোকমান নামে এক জেলে বলেন, নয় দিন হয়ে গেছে এখনও চাল পাইনি, কবে পাব তাও জানি না।
এমন সংকট শুধু তাদের নয়, বেশিরভাগ জেলেরই একই অবস্থা। তারা দ্রুত চাল পাওয়ার দাবি তুলেছেন।
দৌলতখান উপজেলা মৎস্য অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, দৌলতখান উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ২১ হাজারের বেশি।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, জেলায় কিছু কিছু ইউনিয়নে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্য বাকি জেলেরাও চাল পেয়ে যাবেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available