জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি: দীর্ঘসময় বাক প্রতিবন্ধী রানা ফকিরের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। চারদিকে খোঁজা-খুঁজি করেও তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ধারণা করে সে নদীতে গোসল করতে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদী থেকে রানা ফকিরের মরদেহ উদ্ধার করে।
২৬ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যা শোয়া ৬টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের চরপাতানিধি গ্রামের কীর্তিনাশা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত বাক প্রতিবন্ধী রানা ফকির (২৩) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চান্দনী গ্রামের জাকির হোসেন ফকিরের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চান্দনী গ্রামের রানা ফকির শরীয়তপুর পৌরসভার রুপনগর এলাকার সৃজনশীল বিদ্যা পীঠ স্কুলের পাশে দুলাল সরদারের বাড়িতে ভাড়া হিসেবে ফুফুর কাছে থাকত। জন্মগতভাবে রানা বাক প্রতিবন্ধী ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। শুক্রবার বিকেলে রানাকে তার আত্মীয়-স্বজনরা দীর্ঘসময় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তারা ধারণা করে সে কীর্তিনাশা নদীতে গোসল করতে গেছে। এরপর স্বজনরা বিষয়টি শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসকে জানালে ডুবুরি দল চরপালং গ্রামের কীর্তিনাশা নদী থেকে সন্ধ্যা শোয়া ৬টার দিকে রানা ফকিরের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম খান বলেন, খবর পেয়ে মাদারীপুর থেকে ডুবুরি দল এনে রানা ফকির নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, রানা ফকিরের মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available