নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঢাকার নবাবগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা।
২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক পাওয়ার পর নিজ বাড়ি যন্ত্রাইলে নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করেন নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু। বিকেল ৪টায় নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
ওই জনসভায় বক্তব্য রেখে সবার কাছে আনারস প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট চান জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ২নং ঘোষাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ মোল্লা। যার সকল তথ্য প্রমাণ রয়েছে এই প্রতিবেদকের কাছে।
সরকারি চাকুরি করে প্রকাশ্যে এভাবে নির্বাচনী সভায় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এছাড়া আরও কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষককে সভাস্থলে বসা দেখা গেছে।
জানা গেছে, এই প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বিগত সময়ে অন্যান্য নির্বাচনে সরকারি ডিউটি হিসেবে কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে তিনি নির্বাচনী জনসভায় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে সমর্থন দিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে এসব বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং না থাকায়, সুযোগ পেয়ে আস্তে আস্তে চাকুরির পাশাপাশি রাজনীতিতে ঝুঁকছে শিক্ষকরা। এরকম ঘটনা প্রতিকারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতনমহল।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মীর্জা মো. হাসান খসরু ও ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজ মুঠোফোনে এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্বাচনে কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা বা ভোট চাইতে পারবে না। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখতে বলা হবে। যদি ওই শিক্ষক উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে বক্তব্য রেখে ভোট চেয়ে থাকেন, তার প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available