কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে র্যালি, আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে।
১ মে বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসন ও আঞ্চলিক শ্রম দফতর এবং শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের আয়োজনে কুষ্টিয়া ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়। এ সময় র্যালিতে জেলার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে সকাল ৯ টায় মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এদিকে ‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ মহান মে দিবসের এবারের এই প্রতিপাদ্য আলোকে শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক শ্রম দফতর কুষ্টিয়ার উপ পরিচালক মো. জহিরুল হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, মালিক পক্ষের প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার রেনউইক যজ্ঞেগশ্বর কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদুর হক, শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি জাতীয় শ্রমিক লীগের কুষ্টিয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী খান প্রমুখ।
স্বাগতম বক্তা ছিলেন, কলখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর কুষ্টিয়ার উপমহাপরিদর্শক ফরহাদ ওহাব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা বলেন, বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের স্বীকৃতির দিন। শ্রমিকদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিবছর ১ মে সারা বিশ্বে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা যে যেখানে কর্মরত আছি, সেখানে সবাইকে নিজ কর্মস্থানে যোগ্যতা সম্পন্ন হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই পথভ্রষ্ট হয়ে সাধারণ মানুষের ওপর ও পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করে থাকে। এই ধরনের কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য সকল শিল্পকরখানা জাতীয়করণ করেছিলেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে স্পষ্টভাবে লেখা আছে, সকল শ্রমিক কৃষকের সকল প্রকার বঞ্চনা থেকে মুক্ত রাখতে হব।
এ সময় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে তাদের বক্তব্য প্রদান করেন।
আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে নানান ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available