খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় তপ্ত পরিবেশে প্রাণ সংকটে রয়েছে খামারের কোরবানি উপযুক্ত হাজার হাজার গরু। তাই কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গরু পালনকারীদের। প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে, গরমে হিটস্ট্রোক থেকে গবাদিপশু বাঁচাতে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
জেলায় গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার পারদ ৪০-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। বলতে গেলে দিনের পর দিন বিগত বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণিকূলের হিটস্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। তাই চলমান আবহাওয়ায় কোরবানির গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে এই উপজেলার খামারিরা।
প্রচন্ড গরম, পানি সংকট আর লোডশেডিংয়ের তীব্রতায় প্রাণিসম্পদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
খোকসা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছর এই উপজেলার ৭শ’ খামারে ৩০ হাজার ৫২০টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করছেন খামারিরা।
উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের চড়বিহারীয়া গ্রামের খামারি শংকরি রাণী বলেন, তীব্র গরম থেকে রক্ষা করতে দিনে একাধিকবার গরুকে গোসল করানো, ফ্যান চালানো ও স্যালাইন-গ্লুকোজ খাওয়ানো হচ্ছে। তবুও যেন গরুকে সুস্থ রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা। বাড়তি খরচের বোঝা বহন করতে গিয়ে লোকসানে পড়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
অপর খামারি মনসুর আলী বলেন, “আমার গরু আছে ৫০টা। এর মাঝে হঠাৎ হিটস্ট্রোকে একটি মারা যায়। এরপর বাকিগুলোর খাবারে নিয়ন্ত্রণ এনেছি। আর পশু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যত্ন নিচ্ছি। তাই বাকিগুলো এখন সুস্থ আছে। তবে ভয় কাটেনি।”
কুষ্টিয়ার স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক বাবুলুর রহমান বলেন, সহসা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
খোকসা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছা. শাহীনা বেগম জানান, গরমে হিটস্ট্রোক থেকে গবাদিপশু বাঁচাতে প্রাকৃতিক ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখাসহ ঠান্ডা বা শীতল জাতীয় খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available