জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৫ মে রোববার জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়ার নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় দম্পতিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। জাহিদুল ইসলাম কর্মসংস্থান ব্যাংক ক্ষেতলাল শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি পরিবার নিয়ে জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।
গ্রেফতার দম্পতি হলেন আবু হেনা ফুল মিয়া (৪৬) ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪০)। তারা জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া মহল্লায় বসবাস করেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফারহানা মোস্তারী জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি করেন। তারা সরদারপাড়া মহল্লার একটি পাঁচতলার বাসার তিনতলায় ভাড়া থাকতেন। এ সুবাদে একই মহল্লার আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তাদের সখ্য গড়ে উঠে। এরপর তারা জাহিদুল ইসলামকে এসেনসিয়াল ড্রাগস ওষুধ কোম্পানিতে চাকরির প্রলোভন দেখান। তাদের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে ২০২০ সালের ১ অক্টোবর জাহিদুল ইসলাম তার শ্বশুরবাড়ি এলাকার ৬ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা এনে দেন। টাকা দেওয়ার পরও অভিযুক্তরা আর চাকরি দিতে পারেননি। পরে টাকা ফেরত দিতে বললেও তালবাহনা শুরু করেন।
চলতি বছরের গত ২২ এপ্রিল আবু হেনা ফুল মিয়া তার নামীয় ব্র্যাক ব্যাংকের জয়পুরহাট শাখার দুটি চেক জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানাকে দেন। ব্যাংকে প্রয়োজনীয় অঙ্কের টাকা না থাকায় চেক দুটি নগদায়ন হয়নি। পরে গত ২৭ এপ্রিল ওই দম্পতি ও আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধ প্রতারণার অভিযোগ এনে জয়পুরহাট জজ আদালতের আইনজীবী ফরিদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করেন।
আইনজীবী ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘হজে যাওয়ার জন্য টাকা রেখেছিলাম। সেখান থেকে আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী সেলিনা ও আনোয়ার হোসেন আমার কাছ থেকে ২০ দিনে ৫ লাখ টাকা ধার নেন। তারা আমাকে ধারের টাকা ফেরত দেননি। পরে আমাকে চেক দিয়েছিল। সেই চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা পাইনি। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছি।’
মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে আবু হেনা ফুল মিয়া, তার স্ত্রী ও ফুল মিয়ার শ্বশুর আনোয়ার হোসেন ২৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। তারা চাকরি দিতে পারেননি, টাকাও ফেরত দেননি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি।’
জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, ‘প্রতারণার মামলায় এক দম্পতিকে রোববার নতুনহাট সরদারপাড়ার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available