আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের পেশকার স্বপন হাওলাদার (৩৫)কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৮ মে বুধবার দুপুর ২টার দিকে পশ্চিম কৃষ্ণনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী, পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। স্বপন পশ্চিম কৃষ্ণনগর গ্রামের আবুল হাওলাদারের ছেলে। তিনি কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের খণ্ডকালীন পেশকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পেশকার স্বপন হাওলাদারের (৩৫) সাথে একই গ্রামের মোশারেফ হোসেনের ছেলে রেজাউলের দ্বন্দ্ব আছে। ৮ মে বুধবার দুপুর ২টার সময় স্বপন ইউনিয়ন পরিষদে তার দাপ্তরিক কাজ শেষ করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। গ্রামের মানছুর গাজীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে ধারালো দা, রামদা ও চাকু নিয়ে অভিযুক্ত রেজাউল ৪-৫ জন স্বপনের উপর হামলা করে এলোপাথারি কোপাতে থাকে।
একপর্যায়ে স্বপন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা তার বাম হাঁটু, ডান পা ও বাম হাতে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় স্বপনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
স্বপনের বাবা আবুল হাওলাদার বলেন, ‘মোর পোলাডারে বিনা কারণে রেজাউল ৪-৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করতে চেয়েছে। লোক আসায় তা না পেরে হাত-পা কেটে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।‘
কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার বলেন, ‘দিনের বেলায় আমার খণ্ডকালীন কর্মচারী স্বপনকে সন্ত্রাসী রেজাউলের নেতৃত্বে ৪-৫ জন কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। রামদার কোপে তার হাঁটু, পায়ের গোড়ালি ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। পা টিকবে কিনা তা জানি না। এ ঘটনার কঠিন বিচার হওয়া উচিত।‘
আমতলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তানভীর শাহরিয়ার বলেন, ‘স্বপনের দুই পা এবং বাম হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‘
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available