• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১ সকাল ০৯:৫২:০২ (08-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১ সকাল ০৯:৫২:০২ (08-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

চট্টগ্রামে ঋণ দেওয়ার নামে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২

২০ মে ২০২৪ সকাল ০৭:৪৬:৫৯

চট্টগ্রামে ঋণ দেওয়ার নামে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন এলাকায় গড়ে ওঠা ভুয়া এনজিও সংস্থা আস্থা মাল্টিপারপাসে ১০ হাজার টাকা জমা দিলে মিলবে ১ লাখ টাকার ঋণ, ২০ হাজারে ২ লাখ টাকা। সঙ্গে থাকবে পরিবারের সদস্যদের জন্য চিকিৎসা ভাতাও। এমন নানা লোভ দেখিয়ে গ্রাহকদের থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় প্রায় ২৫ লাখ টাকা। পরে ঋণ না পেয়ে ১৮ মে শনিবার ওই অফিসের দুজনকে আটক করে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। খবর পেয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে প্রতারণার অভিযোগে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে প্রতারণার আসল চিত্র। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু সঞ্চয় ও ঋণের পাস বই এবং সদস্য অন্তর্ভুক্তির ফরম উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলো, মেহেদী হাসান সবুজ (৩৫) এবং মো. জাফরুল হাসান খান (২৮)। এরমধ্যে সবুজ বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের হাওলাদার বাড়ির হালিম হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের বন্দর টিলা এলাকায় থাকেন তিনি। আর জাফরুল বাগেরহাট জেলার সরণখোলার চালিতাবুনিয়ার খান বাড়ির মো. আসলাম হোসেন খানের ছেলে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর অক্সিজেন কাঁচাবাজার এলাকায় থাকেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ এপ্রিল নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন কুয়াইশ রোড এলাকায় আটক ব্যক্তিরা ‘আস্থা মাল্টিপারপাস সার্ভিস লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি এনজিও’র অফিস খোলেন। গত এক মাস ধরে ওই এলাকার শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এনজিও’র সদস্য হওয়ার প্রস্তাব দেন। একইসঙ্গে তাদের আরও কয়েকজনকে সদস্য করার কথা বলা হয়।

পরে সদস্য হওয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা অফিসে গেলে অভিযুক্তরা তাদের জানায়, এককালীন ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিলে সপ্তাহের মধ্যে ১ লাখ টাকা এবং ২০ হাজার সঞ্চয় দিলে ২ লাখ টাকা ঋণ দিবে। এছাড়াও সদস্যদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসা ভাতাসহ নানান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

অভিযুক্তদের কথা বিশ্বাস করে ভুক্তভোগীরা প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে সদস্যপদ নেয়। পরে তাদের একটি সঞ্চয় ও ঋণ বই দেন অভিযুক্তরা। এসময় অভিযুক্তরা সদস্যদের সঞ্চয় ও ঋণ বই কৌশলে নিয়ে যায় এবং তাদের বলা হয়, ১৮ মে তাদের ঋণ দেওয়া হবে।

সেই অনুযায়ী শনিবার সকালে ওই এনজিও অফিসে গেলে তালাবদ্ধ দেখতে পায় ভুক্তভোগীরা। পরে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন, অভিযুক্তরা ঋণ দেবেন বলে এ রকম অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঋণের টাকা না দেওয়ায় মেহেদী হাসান সবুজ এবং মো. জাফরুল হাসান খানকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ভুক্তভোগীরা। তবে এ ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক সদস্য তাদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনের কাছ থেকে সদস্য ফিসহ বিভিন্ন কারণে জামানত হিসাবে টাকা নেয় তারা। পরে আটকদের দেখানো মতে অফিস থেকে ১২৭টি সঞ্চয় ও ঋণ বই এবং ৫৭৬টি সদস্য আবেদন ফরম জব্দ করা হয়।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘প্রথমে অসহায়-নিরীহ মানুষের কাছে গিয়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার প্রলোভনসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা জানিয়ে বিশ্বাস অর্জন করতো অভিযুক্তরা। পরে ঋণ দিবে বলে সদস্যদের কাছ থেকে জামানত নিতো। এভাবে তারা বাদী ও বাদীর পরিচিত সদস্যদের কাছ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং আরো বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে জামানত ও সঞ্চয়ের নামে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতারণা বুঝতে পেরে এক সদস্য বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আরও দুইজন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ






একদিনেই বাংলাদেশে প্রবেশ করল ৫০০ রোহিঙ্গা
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকাল ০৮:২৪:৪৬


আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ জন দেশে ফিরেছেন
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকাল ০৮:০২:২৫