রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, আইন প্রযোগকারীর ভুল সিদ্ধান্তের কারণে প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জেলে যেতে হলে আইন প্রণেতা হিসাবে আমি মেনে নিতে পারি না। ১৪ মার্চ মঙ্গলবার কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে সাইমুম সরওয়ার কমল একথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আমার বিপক্ষে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি একজন আইন প্রযোগকারীর ভুল সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। মূলত তাদের এই সমর্থনের মাধ্যমে একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন, দুইজন ইউপি সদস্য, তিনজন রাজনৈতিক নেতা, তিনজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও একজন সাংবাদিক যিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাফর আলম। গত তিনমাসেও ওই ঘটনাস্থলের দিকে যাননি এবং ছিলেন না। তাদেরকে সম্পূর্ণ মিথ্যাভাবে দ্রুত বিচার আইনে করা মামলায় জেল খাটতে হচ্ছে। যার মামলা নং সিআর -২৬৯/২৩।
এমপি কমল বলেন, মামলার বাদী সাহেদুর রহমান কক্সবাজার আদালতের পেশকার পদে চাকরি করেন। সম্পর্কে বাদী-বিবাদী দুজনই আপন খালাতো ভাই। মূলত দুজনই জমির খতিয়ান সূত্রে মালিক। বাদী পক্ষ দুইদিন আগে সেখানে দেয়াল দিতে যায়, তখন বিবাদীর পক্ষ ছিল না। আবার বিবাদী পক্ষ যখন দুইদিন পরে ওখানে অস্থায়ী ঘর তৈরিতে যায়, তখন বাদী পক্ষ আমার কাছে আসেন। তখন আমি রামু থানার অফিসার ইনচার্জকে মুঠোফোনে অবগত করি। আমার পরামর্শে রামু থানার ওসি সাহেব থানায় একটা সালিশী বৈঠক করেন। সে বৈঠকে স্থানীয় চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টোসহ অন্য সকল বিচারকরা দুই পক্ষকে সমান করে জমি ভাগ করে নিতে বলেন।
তিনি আরও বলেন,বাদী পক্ষ পরবর্তীতে কোর্টে গিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্রত বিচার আইনে মামলা করলে, আইনপ্রয়োগকরী মামলাটি তদন্তে না দিয়ে, রামু থানাকে মামলা হিসাবে রুজু করার জন্য নির্দেশ দেন। অথচ সেখানে কোন মারামারি হয়নি, কথা কাটাকাটিও হয়নি। এমনকি লাঠিসোটা প্রদর্শন, আতংকিত হওয়ার মতো কোন বিস্ফোরনও হয়নি। বাজারের শত শত মানুষ স্বাক্ষী রয়েছেন। এই সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলার কারনে তাদেরকে জেলে যেতে হলে, আইনপ্রনেতা হিসাবে আমি মেনে নিতে পারি না। আইনপ্রয়োগকরীর ভুলের খেসারত যদি আমার নির্বাচনী এলাকার জনগনকে দিতে হয়, আইনপ্রনেতা হিসাবে জনতা আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন।
সংসদ সদস্য বলেন,যারা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন মূলত বিষয়টি রাজনৈতিক। মানববন্ধনে বয়স্ক এক আইনজীবীকে দেখলাম, যিনি আমার বাবার বিরুদ্ধেও মানববন্ধন করেছিলেন। অল্প কয়েকজন জুনিয়র আইনজীবী হতাশাগ্রস্থ হয়ে, আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের প্রার্থী এক লক্ষ ভোটে পরাজয়ের আশংকা দেখে নতুন ইস্যু বানিয়ে রাজনীতি করার চেষ্ঠা করছেন।
এমপি বলেন,যারা মহামান্য আদালতের অবমাননা দেখছেন, তারাই গত একমাস আগে কক্সবাজারের সফল জজ সাহেবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিলেন। যিনি গত এক বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আট হাজার মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।আইনপ্রয়োগকারী ভুল করলে আইন প্রণেতা হিসাবে যদি জনগণের স্বার্থের কথা না বলি, তাহলে দেশে সুবিচার প্রতিষ্ঠা হবে না।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available