মিজানুর রহমান: উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বদলে যাচ্ছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার রূপ। আওয়ামী লীগ সরকারের কল্যাণে দেশে সংঘটিত হয়েছে আমূল পরিবর্তন। জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন থেকে শুরু করে ডিজিটালাইজেশন, সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। বিগত দশ বছরে দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। যার ফলাফল, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার উন্নয়নের কমতি নেই বললেই চলে। আওয়ামী লীগের আমলে যা হয়েছে, বিএনপির আমলে তা হয়নি, এমনটা দাবি সচেতন মহলের। কুতুবদিয়া মহেশখালী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপির নেতৃত্ব আজ কুতুবদিয়ায় উন্নয়নে ভরপুর।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় গত সাড়ে ১০ বছরে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প, অর্থনৈতিক জোন ব্যতীত অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়াও লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ ছিল আশেক উল্লাহ রফিকের অনন্য অবদান। তিনি গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন।
বর্তমানে কুতুবদিয়া উপজেলায় ২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন মূলক কাজ চলমান রয়েছে। তারমধ্যে বেড়িবাঁধ নির্মাণে ৯৭ কোটি, আজম সড়ক পুননির্মাণ, ৪টি জেটি নির্মাণ ও ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাম সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ কাজ চলমান।
কুতুবদিয়া দ্বীপে গ্রামীণ অবকাঠামো গেল কয়েক বছরের উন্নয়ন বিগত এক যুগের উন্নয়নের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। যার ফলে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন কুতুবদিয়ার সাধারণ মানুষ। কুতুবদিয়ায় মহিলাদের জন্য আশেক উল্লাহ রফিক প্রতিষ্ঠা করেছেন কুতুবদিয়া মহিলা কলেজ।
কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে প্রকাশ, কুতুবদিয়া - মহেশখালী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক (এমপি) বিশেষ বরাদ্দে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও সোলার প্যানেল স্থাপন কয়েকশো মেট্রিক টন চালের বরাদ্দের মাধ্যমে স্থাপন করেন। এছাড়াও গত কয়েক অর্থ বছরে দুর্যোগ ত্রাণ ও পূনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে দ্বীপের বিভিন্ন খালের উপর ১৫টি সেতু নির্মিত হয়েছে। যার অর্থ বরাদ্দ ২ কোটি ৭৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯ শ টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে কয়েকশো বাণ্ডিল ঢেউটিন বিতরণ করেছেন আশেক উল্লাহ রফিক এমপি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (এলজিইডি) কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে প্রকাশ, গত কয়েক বছরে এমপির বিশেষ বরাদ্দে তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে কয়েকটি বিদ্যালয় পূননির্মাণে ৬ কোটি ৩৪লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়বিহীন অনেক গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় কুতুবদিয়ায় বিদ্যালয় স্থাপন করেন। গ্রামীণ সড়ক ও হাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্প ২৯৩০ মিটার উন্নয়নের অধীনেও অনেক টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
আশেক উল্লাহ রফিক জানান, উন্নয়নই আমার রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নই আমার প্রধান লক্ষ্য। একই সাথে উন্নয়নের আওতায় এনেছেন কুতুবদিয়া উপজেলাকে। প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা হবে দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি।
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে বেড়িবাঁধ নির্মাণে এক মিটার ডাউন করে দিয়েছিলেন। তাই প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানি প্রবেশ করে লোকালয় । আর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কুতুবদিয়ায় সর্বপ্রথম সিসি ব্লক দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন। আর বিএনপির নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ফেসবুকে ছবি দিয়ে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। বর্তমানে লবণের দাম আকাশচুম্বী,কৃষকের মুখে হাসি। যাতায়াতের সুব্যবস্থা, বেড়িবাঁধ নির্মাণ,বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণ, প্রত্যেক স্কুল-মাদ্রাসায় আইটি সেক্টরসহ অসংখ্য উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। সুতরাং এ উন্নয়নকে আগামীতে আরও বেগবান রাখতে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই অবশ্যই দরকার।
তিনি আরও বলেন,সব মিলিয়ে প্রগতিশীল আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে অতীতের পুঞ্জিভূত সমস্যা, চরম অব্যবস্থাপনা এবং বিশ্বমন্দার পটভূমিতে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে তা প্রতিটি ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available