• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৪২:৩৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৪২:৩৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

রামপালে রেমালের তাণ্ডব: ৯ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে, ১২০০ ঘর বিধ্বস্ত

২৭ মে ২০২৪ রাত ০৮:২০:৪৩

রামপালে রেমালের তাণ্ডব: ৯ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে, ১২০০ ঘর বিধ্বস্ত

বাগেরহাট প্রতিনিধি: রামপালে গত ১৮ ঘণ্টা ধরে চলা ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে উপকারভোগীরা।

২৬ মে রোববার দিনগত রাত ও সোমবার সারাদিন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৬টা) পর্যন্ত কাঁচা-আধা পাকাসহ প্রায় ১ হাজার ২০০ বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী খাত চিংড়ি ও সাদা মাছের শতভাগ ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে।

জানা গেছে, রামপালে প্রায় ২ লক্ষ মানুষের বসবাস। এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পানিবন্ধি হয়ে রয়েছে।

রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে।  বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। রাস্তা ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গবাদি পশুর আশ্রয় কেন্দ্র, মুরগীর ফার্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষের বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ টন চাল  বরাদ্দ দেয়া হলেও সেটি সব জায়গাতে বণ্টন করা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না। এতে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষগুলোর দূর্ভোগ আরও বেড়েছে।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, স্থায়ী অস্থায়ী মিলে মোট ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাতে ৮ হাজার ৮০০ দূর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তার মধ্যে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধিরা রয়েছেন। তাদের জন্য চিড়া, গুড়, দিয়াশলাই, মোমবাতিসহ অন্যান্য উপকরণ দেয়া হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের খিচুড়ি রান্না করে দূর্গতদের দিতে বলা হয়েছে। দূর্যোগ না কমা পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানের জন্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১১টি মেডিকাল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। প্রতি ঘণ্টায় ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কার্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা বলেন, দূর্যোগের ক্ষতি কমাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। মানুষের প্রধান আয়ের উৎস মাছের ঘের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নিন্ম আয়ের মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, গাছপালা উপড়ে পড়েছে বা ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যুৎ ব্যাবস্থার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষের খাবার সরবরাহ ঠিক রাখতে কাজ করছি। কোথাও কোন খারাপ খবর পাওয়া গেলে সাথে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এ জন্যে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ




সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৪:২০:৫২





আলু বীজের চড়া দামে দিশেহারা হাওরের চাষিরা
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৩:৩৬:৫৫