রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে গেলেও পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে রেখে গেছে ক্ষতচিহ্ন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছেন চালিতাবুনিয়া ও চরমোন্তাজ ইউনিয়নসহ উপজেলার নিচু এলাকার ৫০ হাজার মানুষ। কোথাও বেড়িবাঁধ উপচে, কোথাও ভাঙা বাঁধ দিয়ে, কোথাও আবার নতুন করে বাঁধ ভেঙে এসব এলাকায় পানি ঢুকেছে।
প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ছয় হাজার ২২০টি বসতঘর ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে। তবে এরমধ্যে কয়টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং কয়টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত সেই তথ্য তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ৫৭৭টি গবাদিপশু মারা গেছে বলে জানা যায়।
এদিকে শনিবার থেকে উপজেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় কোথাও ভাঙা বাঁধ দিয়ে, কোথাও বাঁধ উপচে এবং কোথাও বেড়িবাঁধ নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা নিচু এলাকার প্রায় সবগুলো ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
মৎস্য বিভাগ বলছে, রাঙ্গাবালীতে এক হাজার ৩২০টি পুকুর ও ২০৫টি ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিব্বুর রহমান জানান, রাঙ্গাবালীর দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য নগদ ১০ লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য দুই লাখ, শিশু খাদ্যের জন্য দুই লাখ, ২০০ মেট্রিকটন চাল এবং ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এসব ত্রাণ সামগ্রী দুর্গত এলাকায় দ্রুত বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available