সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হয়েছে। ২৯ মে বুধবার সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে সিলেট সেনানিবাসে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করেন সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের কর্মকর্তারা।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিওসি, ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সিলেট এরিয়া মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী, ওএসপি(বার), এসজিপি, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে ১০টি দেশে ৬ হাজার ৯২ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ও কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন। যার মধ্যে ৪৯৩ জন নারী। শুরু থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দেশের সর্বমোট ১৬৮ জন শান্তিরক্ষী শহিদ হয়েছেন।
বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছত্রিশ বছর ধরে শৃঙ্খলা, সততা, সামরিক পেশাগত দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, আনুগত্য, সাহসিকতা, পেশাদারিত্ব, কর্তব্য নিষ্ঠা এবং স্থানীয় জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন, মানুষকে আপন করে নেওয়ার প্রবণতা এবং অভিজ্ঞতার বাস্তব প্রয়োগের ফলে আজ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীগণ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আদর্শ হিসাবে স্বীকৃত। অনেক একাডেমিসিয়ানদের কাছে আলোচনায় বিষয়বস্তুও বটে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের জাতিসংঘের মজ্জা বলে উল্লেখ করেছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর দূরদর্শিতা, সংবিধানের দিক-নির্দেশনা, মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুপ্রেরণা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব ও যোগ্য সামরিক কমান্ডারদের নেতৃত্বের ফলে বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আমাদের শান্তিরক্ষীদের আবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আজ আমরা বিশ্বের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের ক্ষেত্রে অন্যতম শান্তিরক্ষী বাহিনীর আসনে অধিষ্ঠিত। দ্রুততম সময়ে শান্তিরক্ষী প্রেরণেও বাংলাদেশ দক্ষতায় পরিচয় দিয়েছে। উন্নত দেশের সেনাবাহিনী ও শান্তিরক্ষীদের সাথে কাজ করে বাংলাদেশ সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে। এ কারণে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক ও গৌরবের একটি বিষয়। বিশ্বের শান্তি রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী দেশপ্রেম, উঁচু মনোবল ও বিশ্বশান্তিতে অবদান রাখার প্রত্যয়ে বিরূপ পরিবেশে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য সদা প্রস্তুত। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ, কমান্ড্যান্ট, এসআইএন্ডটি, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বেসামরিক প্রশাসন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাবের সদস্যবৃন্দ, স্কুল ও কলেজ থেকে আগত অধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যবৃন্দ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available